এক সময় যে গ্যালারি হার্দিক পাণ্ড্যের জয়ধ্বনি দিত, রবিবার তারাই ছিল বিপক্ষে। গুজরাত টাইটান্স ব্যাট করার সময় প্রথম ওভারটাই করেন হার্দিক। আর সেই ওভারে দেন ১১ রান। ঋদ্ধিমান সাহা প্রথম বলেই চার মারেন। বোলার হার্দিক বেশ লম্বা লাইন আপ নিয়ে বল করলেন। কিন্তু মন জয় করতে পারলেন না। প্রশ্ন উঠতেই পারে, রোহিত শর্মা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হলে আদৌ হার্দিককে দিয়ে তিন ওভার বল করাতেন কি না। গুজরাত তুলল ১৬৮ রান।
মুম্বই দলে যশপ্রীত বুমরার মতো এক জন পেসার রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দিয়ে ইনিংসের প্রথম বল করালেন না হার্দিক। বুমরা বল করতে এলেন চতুর্থ ওভারে। এসেই তুলে নেন ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট। ইয়র্কার সামলাতে পারেননি বাঙালি উইকেটরক্ষক। উইকেট ভেঙে যায় ঋদ্ধির। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে বুমরা প্রথম বলেই আউট করেন ডেভিড মিলারকে। এমন এক জন বোলারকে দিয়ে প্রথম ওভার বল কেন করানো হবে না? এমন প্রশ্ন তুললেন ধারাভাষ্যকারেরাও।
গুজরাতের হয়ে শুরুটা খারাপ করেননি অধিনায়ক শুভমন গিল এবং ঋদ্ধিমান। ১৫ বলে ১৯ রান করে ঋদ্ধি আউট হলে নামেন সাই সুদর্শন। তিনি এবং শুভমন মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। শুভমন ৩১ রান করে আউট হলেও সুদর্শন ছিলেন। তিনি ৪৫ রান করেন।
আরও পড়ুন:
জেরাল্ড কোয়েটজ়ি নেন দু’টি উইকেট। পীযূষ চাওলা একটি করে উইকেট নেন। কোয়েটজ়ি চার ওভারে ২৭ রান দেন। চাওলা তিন ওভারে দেন ৩১ রান। কোয়েটজ়ি এবং বুমরা ছাড়া কোনও বোলারই রান আটকাতে পারেননি। সেই সুযোগে গুজরাত ১৬৮ রান তুলে নিল। ঠিক মতো বোলারদের ব্যবহার করতে পারলে হয়তো আরও আগেই থেমে যেত গুজরাতের ইনিংস। সেই দায় হার্দিককে নিতেই হবে।