মেজাজ: চিয়ারলিডারদের সঙ্গে কেকেআর মালিক। টুইটার
তাঁর বিখ্যাত ফিল্ম ‘চক দে ইন্ডিয়া’র মতো কখনও কবীর খানের ভূমিকায়। আবার কখনও স্রেফ পর্দার বাইরের শাহরুখ খান। অথবা যে রকম মেজাজে তাঁকে দেখা যায় নাইটদের পার্টিতে। যিনি কোনও রকম ব্যবধান না রেখে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মজা করতে থাকেন।
ইডেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে যাওয়ার পরের দিন একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল নাইটদের হোটেলে। তখনও অবশ্য বোঝা যায়নি, কাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে এলিমিনেটরের ম্যাচ। পুণে একতরফা জিতে যাওয়ায় বেঙ্গালুরুতে এখন প্রথম এলিমিনিটরে নাইটদের খেলতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে। সেই ম্যাচ জিতলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও পুণে ম্যাচের পরাজিতদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলে তবেই ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র। সাধে কি আর শাহরুখ বলছেন, ‘‘তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাব!’’ আর যদি বেঙ্গালুরুতে প্রথম ম্যাচে হেরে যান গম্ভীররা, তা হলে এ বারের বিদায় নিতে হবে তাঁদের।
সেখানে দশ বছর পূর্তি উদযাপন করা হল। নাইট সংসারে সেই অনুষ্ঠানেও সেরা আকর্ষণ অবশ্যই বাজিগর। যাঁর নিজের তৈরি করা সংলাপ দিয়ে শুরু হয়েছিল কেকেআরের যাত্রা— করব, লড়ব, জিতব রে। দশ বছরের নানা স্মরণীয় এবং মজাদার মুহূর্ত মিশিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। সেটাই দেখানো হল দশ বছর পূর্তির এই অনুষ্ঠানে। ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তও রাখা হয়েছিল সেখানে।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে গম্ভীররা এ বার যুবিদের সামনে
যেমন নাইট পার্টিতে উমেশ যাদব বা পীযূষ চাওলার নাচের মুহূর্ত। দু’জনেই নাকি নাচতে ভালবাসেন। পুরনো ক্লিপিংস দেখে সকলেই উপভোগ করলেন। আরও হাসির রোল উঠল যখন সঞ্চালক পুরনো মুহূর্ত দেখিয়ে এক-এক জন ক্রিকেটারকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন, এটা কবেকার ঘটনা বলো। শাহরুখ সেই অনুষ্ঠানে থেকে স্পনসরদের ধন্যবাদ জানালেন। ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দীর্ঘ যাত্রায় তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য। ‘আমি কেকেআর’-এর মতোই বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি কলকাতা’।
দশ বছরের শেষটা কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার। কেকেআর পেসার ট্রেন্ট বোল্ট বলছেন, ‘‘আমাদের আর কোনও ভুল করলে চলবে না। এর পর সব ক’টাই মরণ-বাঁচন ম্যাচ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy