কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের সুযোগ কেউ খুব বেশি দেখতে পাচ্ছেন না। দু’টো কারণ রয়েছে এর পিছনে। প্রথমত, পাওয়ার প্লে-তে গম্ভীরের দলের বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। দ্বিতীয়ত, পঞ্জাবের বোলিংয়েও সেই ঝাঁঝটা মাঝে মাঝেই অনুপস্থিত থাকা। এক মাস আগে দু’দল যখন ইডেনে মুখোমুখি হয়েছিল তখন এই দুই কারণ-ই জয়-পরাজয় নির্ধারণ করেছিল।
দুই টিমেই তার পর সামান্য কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কেকেআর পাওয়ার প্লে-র সুবিধা এখনও পুরোদমে নিয়ে যাচ্ছে। এটা পঞ্জাবের একটা বড় ভয়। যেখানে ধাক্কা খেতেই পারে ওরা। সুনীল নারাইনকে কোনও মতেই এখন ‘এক ম্যাচের বিস্ময়’ বলা যাবে না। আর ক্রিস লিন! ওকে দেখলে তো মনে হয়, দীর্ঘ অসুখে ভোগার পর সুস্থ হয়ে কোনও বাচ্চা ক্যান্ডি কিনতে এসেছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটাই যে পঞ্জাবের দুই বোলার সন্দীপ শর্মা এবং অক্ষর পটেলকেও উপেক্ষা করা যাবে না এই মুহূর্তে। দু’জনেই এ বারের আইপিএল-এ দুর্দান্ত ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে। সমস্যা এটাই যে এই দু’জনে চার ওভারের বেশি বল করতে পারবে না। যদি দু’জনকে শুরুর দিকে বোলিং করানো হয় তা হলে স্লগ ওভারে আঁটসাঁট বল করার জন্য কাউকে পাওয়া যাবে না। আর পঞ্জাবের এই দু’জনের ওভার শেষ হয়ে গেলেই মাঝের ওভারগুলোতে চাপমুক্ত হয়ে খেলে যাবে বিপক্ষ।
আরও পড়ুন: স্কোরবোর্ড দেখে মনে হচ্ছিল, পাগলামি হচ্ছে: কালিস
পঞ্জাবের হয়ে এ বারের আইপিএলে হাসিম আমলা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। চলতি আইপিএল-এ দু’টো শতরান হয়ে গিয়েছে এই কপিবুক ব্যাটসম্যানের।
যাই হোক, দু’দলের কাছেই এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে দুই টিমই। কেকেআর-এর শেষ ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। তাই তার আগে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নিজেদের পঞ্জাবকে হারিয়ে নিজেদের ছন্দটা আরও একবার ঝালিয়ে নিতে পারে গম্ভীরের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy