Advertisement
E-Paper

সুনীলের দুর্দান্ত গোলে লিগের মাঝপথে শীর্ষে বেঙ্গালুরু

নিজেদের অর্ধের মাঝামাঝি কোনর টমাস নববর্ষের উপহার দিয়েছিলেন সুনীলকে। ভারত ও বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের ডানপায়ের দুরন্ত শটে, ৩৯ মিনিটে যা সত্যিই জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল এটিকে-র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৫৭
গোল করার পর সুনীলকে ঘিরে উচ্ছাস বেঙ্গালুরু দলের। ছবি সৌজন্যে আইএসএল।

গোল করার পর সুনীলকে ঘিরে উচ্ছাস বেঙ্গালুরু দলের। ছবি সৌজন্যে আইএসএল।

বেঙ্গালুরু এফসি – ১ এটিকে – ০

(সুনীল ৩৯)

সুনীল ছেত্রীর গোলে ফের লিগ শীর্ষে উঠে এল বেঙ্গালুরু এফসি। ১৮ ম্যাচের লিগে ৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৮। চেন্নাইয়ান এফসি আগের ম্যাচেই ড্র করে উঠে এসেছিল শীর্ষে যা হারাতে হল দ্বিতীয় ম্যাচের শেষে। তাদের থেকে এক পয়েন্টে এবং তৃতীয় এফসি পুনে সিটির চেয়ে দু-পয়েন্টে এগিয়ে এখন বেঙ্গালুরু। আর শ্রী কান্তিরভা স্টেডিয়ামে রবিবার অষ্টম ম্যাচে তৃতীয় হারের পর ৯ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানেই পড়ে থাকল গতবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে।

নিজেদের অর্ধের মাঝামাঝি কোনর টমাস নববর্ষের উপহার দিয়েছিলেন সুনীলকে। ভারত ও বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের ডানপায়ের দুরন্ত শটে, ৩৯ মিনিটে যা সত্যিই জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল এটিকে-র। শরীর ছুড়ে দিয়েও দেবজিৎ পৌঁছতে পারেননি বলের কাছে। সুনীলের পঞ্চম গোল, চতুর্থ হিরো আইএসএল-এ। ভারতীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসাবে বলবন্ত সিংয়ের সমান। দ্বিতীয় গোল পেয়ে জেজে-কেও ধরে ফেলতে পারতেন সুনীল দ্বিতীয়ার্ধে। ৬১ মিনিটে আক্রমণে উঠেছিল বেঙ্গালুরু, মিকু বল বাড়িয়েছিলেন দেলগাদোকে যিনি এটিকে ডিফেন্স চিড়ে ফেলেছিলেন সুনীলের উদ্দেশে বাড়ানো পাসে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে থর্প স্লাইডিং ট্যাকলে সুনীলের শট আটকে দেন। কিন্তু বল গিয়ে পড়েছিল মিকুর পায়ে। ভেনেজুয়েলার মিকুর শট বাঁচান দেবজিৎ।

৩৩ মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত বেঙ্গালুরু। এডু গার্সিয়ার ফ্রি কিক থেকে অস্ট্রেলীয় এরিক পার্টালুর হেড দেবজিৎকে পরাস্ত করে দূরের পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরছিল যখন, রাহুল ভেকে চেষ্টা করেছিলেন জটলার মধ্যে থেকে গোলে বল পাঠাতে। কিন্তু তাঁর শট গোললাইনের ঠিক আগে এটিকে ডিফেন্ডারের পায়ে আটকে যায়।

আরও পড়ুন:

শঙ্করলালের হাত ধরে জয়ে ফিরল মোহনবাগান

জয়ে ফিরেই সঞ্জয়ের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন ডিকার

দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বেঙ্গালুরু বারবার আক্রমণে আসলে নাভিশ্বাস ওঠে এটিকে রক্ষণে। ৭৯ মিনিটে নোবরেগার বাঁপায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার সময় কর্নার করে দিয়েছিলেন এটিকে ডিফেন্ডার। সেই কর্নারে সবার ওপরে উঠে হেডও দিয়েছিলেন পার্টালু, কিন্তু রেফারি তার আগেই ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছিলেন। তারপরই পার্টালু দুর্দান্ত বল বাড়িয়েছিলেন গার্সিয়ার জন্য। কিন্তু গার্সিয়ার শট দেবজিতের হাতে লেগে দুরের পোস্টের দিকে যাওয়ার সময় কোনও রকমে বাইরে পাঠায় এটিকে-ডিফেন্স।

ম্যাচের সেরা ফুটবলার হিসাবে বেঙ্গালুরুর হুয়াননকে বেছে নেওয়ায় এটা পরিষ্কার যে এটিকে-ও আক্রমণে এসেছিল বারবারই। কিন্তু হুয়ানন পাহাড়ের মতো অটল ছিলেন। ২৬ মিনিটে এটিকে-ও সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। জেকিনিয়ার লব খুঁজে নিয়েছিল রবিন সিংকে। রবিন হেড করে দিয়েছিলেন, রবি কিন টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডারকে। রুপার্ট নোঙ্গরাম দেরি করে ফেলেন শট নিতে যা শেষ পর্যন্ত আটকে যায় বেঙ্গালুরু রক্ষণে। ৫৯ মিনিটে কীনের নিচু শটও ঝাঁপিয়ে বাঁচান গুরপ্রীত সিং।

শেষ ৬ ম্যাচে পাঁচ জয় বেঙ্গালুরুর, গোল ১৪টি। আইএসএল-এ অভিষেকেই তারা যে খেতাবজয়ের অন্যতম দাবিদার, বুঝিয়ে দিচ্ছে পারফরম্যান্স। প্রথমার্ধে এটিকে সমানে সমানে লড়ার চেষ্টা করেছিল অন্তত কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিনের একটি শট ছাড়া সেভাবে বেঙ্গালুরু রক্ষণকে পেরিয়ে যেতে পারেনি। ৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। টেডি শেরিংহ্যাম কোচ হিসাবে আসার পর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য নিশ্চিতভাবেই অধরা এটিকে-র।

Bengaluru FC ATK Sunil Chhetri ISL 4 Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy