Advertisement
E-Paper

‘ইরফানের হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও সেই টেস্টে ইনজামামের পরামর্শে ভারতকে হারিয়েছিলাম’

আট নম্বরে কামরান যখন ক্রিজে গিয়েছিলেন তখন ৩৯ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে ২৪৫ তোলে পাকিস্তান। কামরান করেন ১১৩।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ১৬:০৭
কামরান আকমলের সেঞ্চুরি পাল্টে দিয়েছিল করাচি টেস্টের গতিপথ। —ফাইল চিত্র।

কামরান আকমলের সেঞ্চুরি পাল্টে দিয়েছিল করাচি টেস্টের গতিপথ। —ফাইল চিত্র।

২০০৬ সালের করাচি টেস্টে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইরফান পাঠান। প্রথম দিন একসময় ৩৯ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। জিতে যায় টেস্ট। আর ম্যাচের গতিপথ পাল্টাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল উইকেটকিপার কামরান আকমলের সেঞ্চুরি।

আর সেই সেঞ্চুরির নেপথ্যে অবদান ছিল ইনজামাম উল হকের পরামর্শ। ঠিক কী বলেছিলেন ইনজি? কামরানের মতে, “সত্যি বলতে আমার মাথা একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল ব্যাট করতে নামার সময়। আমি তখন ছিলাম নতুন। আমার উপর তেমন কোনও চাপ ছিল না। ইনজি ভাই পিঠের ব্যথার জন্য সেই টেস্ট খেলেনি, বিশ্রাম নিয়েছিল। এ দিকে, প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করেছিল ইরফান পাঠান। ড্রেসিংরুমে বসেছিলাম ইনজি ভাইয়ের পাশে। কী যে হচ্ছে তা বুঝতেই বোধহয় বার বার জায়গা বদলে ফেলছিল ও।”

তার পর কী হল? কামরান আকমল বলেছেন, “ইনজি ভাই আমাকে বলল, ‘কামি, যে ভাবে খেল সে ভাবেই ভারতের বিরুদ্ধে খেল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে ভাবে সেঞ্চুরি করেছিলে সে ভাবেই খেল। তুমি নিজের সহজাত খেলাটাই খেল। যা-ই হোক না কেন, এর চেয়ে খারাপ তো আর হতে পারে না। এর থেকে ভালই শুধু হতে পারে। তুমি সহজাত খেলাটা খেল। চাপ নিও না।’ এই পরামর্শই মাথায় রেখেছিলাম।”

আরও পড়ুন: ‘ধোনি নয়, আমার মতে সেরা ক্যাপ্টেন দাদা’

আরও পড়ুন: সপ্তম বার গোল্ডেন বুট! নয়া রেকর্ড গড়েও তৃপ্ত নন মেসি​

আট নম্বরে কামরান যখন ক্রিজে গিয়েছিলেন তখন ৩৯ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে ২৪৫ তোলে পাকিস্তান। কামরান করেন ১১৩। জবাবে ভারত তোলে ২৩৮। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেটে ৫৯৯ তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য ভারতকে করতে হত ৬০৭ রান। যুবরাজ সিংহের ১২২ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ভারত থামে ২৬৫ রানে। ৩৪১ রানে জেতে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তিন টেস্টের সিরিজও ১-০ জেতে পাকিস্তান।

ম্যাচের সেরা কামরান বলেছেন, “যখন ক্রিজে গেলাম প্রথমেই আরপি সিংহের ডেলিভারি গালি-পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে কাট মেরেছিলাম। ওই শট আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। এর পর টেলএন্ডারদের সঙ্গে ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়ায় জোর দিয়েছিলাম। আবদুল রজ্জাক, শোয়েব আখতারের সঙ্গে জুটিগুলোই আমাদের ইনিংসকে ২৪০ রানে পৌঁছে দিয়েছিল। ওটা ছিল অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। এমনকি এখনও ওই টেস্ট জেতার কথা মাথায় এলে অবাক হয়ে যাই। ওই ইনিংস সারা জীবন মনে রাখব। ভারতকে হারিয়ে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে দারুণ লেগেছিল।”

Cricket Cricketer Kamran Akmal Inzamam Ul Haq India Vs Pakistan Irfan Pathan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy