Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টেস্ট দলে ফিরে নয়া প্রতিজ্ঞা কার্তিকের

বেঙ্গালুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র টেস্টে কার্তিককেই স্টাম্পের পিছনে দেখা যাবে। প্রায় ১০১ মাস টেস্ট দলের বাইরে থাকা নিয়ে অবশ্য কোনও আফসোস নেই কার্তিকের।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ০৪:০০
Share: Save:

জাতীয় দলের হয়ে তিনি সাদা পোশাকে শেষ নেমেছিলেন ২০১০-এর জানুয়ারিতে। তার পর ভারত ৮৭টি টেস্ট খেলে ফেলেছে। কিন্তু তার একটিতেও ডাক পড়েনি তাঁর। প্রথমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও পরে ঋদ্ধিমান সাহা বাধা হয়ে দাঁড়ান দীনেশ কার্তিকের টেস্ট দলে আসার রাস্তায়। ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। ঋদ্ধিমানও আইপিএলের পরে চোট পেয়ে সরে যাওয়ায় ডাক আসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কের।

বেঙ্গালুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র টেস্টে কার্তিককেই স্টাম্পের পিছনে দেখা যাবে। প্রায় ১০১ মাস টেস্ট দলের বাইরে থাকা নিয়ে অবশ্য কোনও আফসোস নেই কার্তিকের। কারণ, তিনি মনে করেন, কোনও সাধারণ ক্রিকেটার নন, ধোনির মতো উইকেটকিপার তাঁর সামনে ছিলেন বলেই তিনি এই সুযোগ পাননি এবং এটাই স্বাভাবিক।

মঙ্গলবার দলের অনুশীলনে এসে কার্তিক বলেন, ‘‘ওই সময়ে ভাল ফর্মে ছিলাম না। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাও হয়তো তেমন ছিল না। তখন দলের মধ্যে যথেষ্ট প্রতিযোগিতার বাতাবরণও ছিল। এই অবস্থায় এমএস ধোনি নামের একজন যদি ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলে, তখন আর কীই বা করার থাকে? ধোনিই তো পরে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন হয়ে ওঠে।’’

পরিসংখ্যানবিদরা দাবি করতে পারেন ৮৭ টেস্ট পরে দলে ফিরে আসাটা ভারতীয় ক্রিকেটে একটা নজির। তবে কার্তিকের আগেও একজন এ রকমই এক নজিরের মালিক ছিলেন। তিনি পার্থিব পটেল। যিনি ৮৩ টেস্ট দলের বাইরে থাকার পরে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন প্রায় আট বছর পরে। তবে পার্থিবের সেই নজির ভেঙে আফসোস নেই কার্তিকের। বলেন, ‘‘সাধারণ কেউ কারও জন্য নয়, একজন অসাধারণ ক্রিকেটারের জন্য আমাকে দলের বাইরে থাকতে হয়েছিল। সত্যি বলতে, নিজের জায়গা ধরে রাখার মতো পারফরম্যান্স আমি দেখাতে পারিনি। ফের সুযোগ পেয়েছি যখন, সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব।’’

নিজেকে সেরা ফর্মে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলে জানালেন ভারতীয় কিপার। অর্থাৎ, পরোক্ষে ঋদ্ধিকে দলে ফিরতে না দেওয়ারই চেষ্টা করবেন তিনি। সেটা নিয়ে না ভেবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই বেশি ভাবতে চান, জানিয়ে দিলেন কার্তিক। বলেন, ‘‘কাউকে দলের বাইরে রাখা নিয়ে ভাবা মানে অযথা বাড়তি চাপ নেওয়া। তার চেয়ে নিজেকে সেরা জায়গায় নিয়ে যাওয়া নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাই ভাল। মাঠে ও মাঠের বাইরেও। যাতে আমাকে দলে না রাখা হলেও এই সান্ত্বনাটা থাকে যে, নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE