বোর্ড এখনও অনড়। তবু শ্রীসন্তর মাঠে ফেরার লড়াই শুরু হয়ে গেল। রবিবার কোচির নেটে। ছবি: পিটিআই।
সেই শান্তাকুমারন শ্রীসন্ত। চেনা শ্রীসন্ত। রবিবার বিকেলে যাঁকে দেখা গেল নীল ট্র্যাক সুটে। কোচির এরাপল্লি হাইস্কুল গ্রাউন্ডে।
এর্নাকুলাম ক্রিকেট ক্লাবের নেটে তাঁকে দেখতে উপচে পড়ল ভক্তদের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে ভেসে আসছিল কলঙ্কিত তারকার নামে জয়ধ্বনি। যার সারমর্ম, ‘‘এগিয়ে যাও শ্রীসন্ত। আমরা তোমার পাশে আছি। আমার তোমাকে ফের ভারতের হয়ে ক্রিকেট মাঠে দেখতে চাই।’’
শনিবার পাটিয়ালা কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে থাকার অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই জিতলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাসনমুক্তি ঘটেনি। তবে নিজের রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাকে পাশে পেলেন তিনি। কেরল ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট টি সি ম্যাথু, যিনি আবার বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্টও, বলেছেন, ‘‘শ্রীসন্তের নির্বাসন তোলার জন্য বোর্ডের কাছে আবেদন জানাব। আমি নেহাৎ বাইরে আছি বলে সোমবারের আগে চিঠিটা পাঠানো যাবে না। প্রয়োজনে বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রতিনিধি দলও পাঠাব। ওকে আসন্ন ঘরোয়া মরসুমে রাজ্য দলের হয়ে খেলানোর অনুমতি চাইব।’’ তবে বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর এ দিন আবার জানিয়েছেন, শ্রীসন্তদের শাস্তি উঠছে না। অনুরাগ বলেন, ‘‘আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু নির্বাসনের শাস্তি উঠছে না।’’
এরই মাঝে অবশ্য শ্রীসন্তের ফেরার লড়াই শুরু হয়ে গেল। তাঁর আশা, তিন সপ্তাহের মধ্যেই ম্যাচ ফিট হয়ে যাবেন। বললেন, ‘‘ক্রিকেটে ফেরার জন্য এখন টেনিস বল ক্রিকেটেও অংশ নিতে রাজি।’’
এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ নিজের শহর কোচিতে ফেরেন শ্রীসন্ত। এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বাড়িতে পা রাখা মাত্রই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেগে ভেসে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগের কথা শুনে জোড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলেন, ‘‘যদি আমার দাউদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকত, তা হলে আমি এখানে থাকতাম না। দুবাই বা অন্য কোথাও থাকতাম। আর ওদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে ক্রিকেটারও হতাম না।’’ দিল্লি পুলিশ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে শুনে শ্রীসন্তের আইনজীবী রেবেকা জন বলছেন, ‘‘ওরা উচ্চতর আদালতে যেতেই পারে। কিন্তু সেখানেও যাতে ওরা জোর ধাক্কা খায়, সেই ব্যবস্থাও করব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy