গ্যালারিতে বুধবারের মতোই বৃহস্পতিবারও জনা পনেরো সমর্থক উইলিস প্লাজা এবং চালর্স ডি সুজাদের নিয়ে বিদ্রুপ করে যাচ্ছিলেন নাগাড়ে।
পর পর দু’দিন সদস্য সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে খালিদ জামিল মনে হল বেশ চাপে। সেটা বোঝা যাচ্ছে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার দু’দিন আগে হঠাৎই বাতিলের দলে ফেলে দেওয়া অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডলের টিমে অন্তর্ভুক্তি দেখে। এ দিন দুপুরের অনুশীলনে স্টপারে এদুয়ার্দো ফেরিরার সঙ্গে অভিজ্ঞ অর্ণবকে খেলালেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, লাল-হলুদ কোচ যাঁকে টিম মিটিংয়ে ডাকতেনও না বা ভাল ভাবে কথাও বলতেন না, সেই অর্ণবকেই পাঠিয়ে দেওয়া হল সাংবাদিকদের সামনে। খালিদের ঢাল এখন ডার্বিতে ‘ব্রাত্য’ অর্ণবই। অর্ণব বলে দিলেন, ‘‘ডার্বির হারের চেয়েও আইজলের সঙ্গে যে ভাবে টিম পয়েন্ট নষ্ট করেছে, সেটাই বেশি ক্ষতি করেছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নষ্ট হয়েছে। আই লিগ খুব ছোট। সব ম্যাচই তাই গুরুত্বপূর্ণ।’’ পাশাপাশি দেশের অন্যতম সেরা স্টপারের মন্তব্য, ‘‘ডার্বি না খেলতে পারায় কষ্ট হয়েছে। শনিবার শিলং লাজং ম্যাচেও আমি খেলব কি না জানি না। কোচ সেটা বলতে পারবেন।’’ উইলস প্লাজাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইলেও প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন অধিনায়ক। বললেন, ‘‘প্লাজা ভাল স্ট্রাইকার। কলকাতা লিগে তো ও গোলও করেছে। অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। আই লিগেও ও গোল করবে। আমাদের সবাই মিলে প্লাজাকে সাহায্য করতে হবে। খারাপ সময় তো কারও যেতেই পারে।’’ শনিবার শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য অগ্নিপরীক্ষা প্লাজা-চার্লসের মতো কোচ খালিদেরও। অর্ণব বললেন, ‘‘শিলং শেষ দুটো ম্যাচ জিতে এখানে এসেছে। তা ছাড়া ওরা কৃত্রিম ঘাসে অনুশীলন করে। তবে বারাসতের মাঠ আমার একেবারেই পছন্দ নয়। খুব খারাপ অবস্থা।’’ এ দিনের অনুশীলনে দু’টো ফর্মেশনে অনুশীলন করান খালিদ। শোনা যাচ্ছে, জিততে মরিয়া লাল-হলুদ কোচ ৪-৪-২তে টিম নামাতে পারেন। দুই স্ট্রাইকার প্লাজা এবং চার্লসকে সামনে রেখে। আর এক সফল মিডিও মহম্মদ রফিককে অবশ্য এ দিনও প্রথম একাদশে রাখেননি খালিদ। তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরে। শিলং ম্যাচে প্লাজা বা চার্লস যদি ভাল খেলতে না পারেন, তা হলেও ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশি বদলানোর কোনও সুযোগ নেই ইস্টবেঙ্গলের। ওদেরই খেলিয়ে যেতে হবে খালিদকে। কারণ ওই দিনই ফিফার ফুটবলার আসা-যাওয়ার জানালা খুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy