সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোই ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম মালিক হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আত্মপ্রকাশ ঘটল আর এক ক্রিকেটারের। তবে তিনি প্রাক্তন নন, বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য।
কোচ জিকো এবং আইকন ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপজয়ী রবার্ট পিরেজের সঙ্গে ঘোষণা হয়ে গেল বিরাট কোহলির নাম। এফসি গোয়া-র অন্যতম মালিক এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর হলেন কোহলি। “জিকো এবং পিরেজের মতো বিশাল মাপের ফুটবলার আসায় এমনিতেই শক্তিশালী হয়েছে গোয়া। সেই টিমের মঞ্চে আমার ক্রিকেট থেকে ফুটবলে প্রবেশ ঘটল। এটা আমার কাছে বিরাট ব্যাপার।”
মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠান করে এফসি গোয়া তাদের জার্সি এবং কিট উদ্বোধন করল। আইএসএলের প্রধান মুখ নীতা অম্বানী, ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের উপস্থিতিতে সরকারি ভাবে ঘোষিত হয় দলের কোচ জিকো এবং পিরেজের নাম। জিকো ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন গোয়ায়। তবে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য পিরেজ সোমবার সন্ধ্যায় পা রেখেছেন ভারতে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিমের অন্য তিন মালিকের সঙ্গে বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান।
কোহলির পাশে বসে ব্রাজিলের প্রাক্তন বিশ্বকাপার জিকো বলে দেন, “আমার উপর সকলের প্রত্যাশা অনেক। সেটা আমিও জানি। চেষ্টা করছি পুরো টিমকে উদ্দীপ্ত করতে। ভারতীয় ফুটবলারদের দেখেছি। ওদের ফিজিক্যাল কন্ডিশন কিন্তু বেশ ভাল।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতীয় ফুটবলারদের মান কেমন? জিকো বলে দেন, “ওরা এখনও পুরোপুরি পেশাদার হতে পারেনি। সেটা তৈরি করার চেষ্টা করছি। জাপানেও এই সমস্যা ছিল।” জাপানে জিকো কোচিং করানোর পর সেখানকার ফুটবলটাই বদলে গিয়েছে। গোয়া কোচকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারতে ক্রিকেটই তো এক নম্বর খেলা। এখানে ফুটবলের জায়গা কোথায়? জিকো বলে দেন, “সব খেলার নিজস্ব ফ্যান থাকে। নিজেদের বেড়ে ওঠার জায়গা থাকে। আমি যখন জাপানে কোচিং করতে যাই তখন সেখানে বেসবল ছিল এক নম্বর খেলা। যেমন এখানে ক্রিকেট। এখন জাপানে ফুটবল অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বেসবলও কিন্তু এগিয়েছে একই সঙ্গে।”
আর রবার্ট পিরেজ? ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন ‘৯৮-তে। মিডিও পিরেজ গোয়া টিমে আইকন হিসাবে যোগ দেওয়ার আগে খেলতেন অ্যাস্টন ভিলায়। তবে সেটা তিন বছর আগে। পিরেজ মহাতারকা হন আর্সেনালে খেলেই। সোমবার দুপুরে মুম্বইতে আর্সেনাল সমর্থকরা যে ভাবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাতে তিনি আপ্লুত। এ দিন গোয়ায় পিরেজ বলেন, “গোয়ায় এবং ভারতে খেলতে এসে খুব ভাল লাগছে। আমি চেষ্টা করব নিজের খেলাটা খেলতে। পাশাপাশি এ দেশের ফুটবলে উন্মাদনা আনতে।”