ক্রীড়ামন্ত্রী নিজে মাঠে নেমে অ্যাকাডেমির ছাত্রদের ফিটনেস পরীক্ষা নিচ্ছেন!
সিনিয়র মন্ত্রীকে গোপন রিপোর্ট দিচ্ছেন, ফিটনেস ভাল নয়। দু’বছরে ছেলেরা সে ভাবে তৈরিই হয়নি।
তাঁর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রাজ্য ফুটবল অ্যাকাডেমির কাজ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ক্রীড়া দফতর। বুধবার বিকেলেই সেই মন্ত্রী তিন ফুটবলার, বিওএ প্রেসিডেন্ট এবং সরকারি আমলাদের নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির পরিকাঠামো দেখতে।
চমকপ্রদ এবং অভিনব এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বুধবার সন্ধ্যায় জামশেদপুরগামী ট্রেনে ওঠার আগে তিনি শুধু বললেন, ‘‘আমি কিছু বলব না। যা বলার বলবেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই আমি চলছি।’’ আর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ‘‘ভারতের সেরা অ্যাকাডেমিগুলোর একটা হবে আমাদেরটা। সেই চেষ্টা শুরু করছি। সেজন্যই পুণের লিভারপুল-শিবাজিয়ান্স এবং টিএফএ-তে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি। চাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ফুটবলার তৈরি হোক আমাদের বাংলায়।’’
খড়দহে দু’বছর ধরে চলছে রাজ্য ফুটবল অ্যাকডেমি। রাজ্য সরকারের এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা। কিন্তু কোনও সাফল্যই আসেনি সেখান থেকে। আইএফএ শিল্ডের মূলপর্বে উঠতে পারেনি গৌতম সরকারের প্রশিক্ষণাধীন ছেলেরা। বড় কোনও টুনার্মেন্টেও জেতেনি। চল্লিশটি ছেলেকে নিয়ে শুরু করা অ্যাকাডেমিতে বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলনও হয় না। কোনও রুটিনও নেই। এ সব অভিযোগ আসছিলই। তাই বিওএ প্রেসিডেন্ট এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে কয়েকদিন আগে খড়দহে পাঠান অরূপ। সেখানেই বাংলা এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্ণী নেমে পড়েন ছেলেদের ফিটনেস পরীক্ষা নিতে। ট্রেনিং কী ভাবে হয়, তা নিয়েও খোঁজ খবর নেন তাঁরা। তারপরই টিএফএ এবং পুণেতে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। যাতে ইঙ্গিত ঢেলে সাজানো হবে অ্যাকাডেমিকে।
তাঁর অ্যাকাডেমির হাল দু’বছর পরও এত খারাপ কেন? প্রশ্ন করলে টিডি গৌতম সরকার যুক্তি দেন, ‘‘আমার তো বিভিন্ন জেলা থেকে ফুটবলার খুঁজতেই দেড় বছর লেগে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬ প্র্যাকটিস ম্যাচে ২৩০ গোল করেছি। খারাপ কী।’’ যা বেশ হাস্যকর।
যে দলটি এ দিন টিএফএ-র পরিকাঠামো দেখতে গেল সেই দলে অবশ্য টিডি গৌতম ছাড়াও রয়েছেন আরও দুই ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানস ভট্টাচার্য। ক্রীড়া দফতরের সচিবও গিয়েছেন। দেখার তাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কতটা বদলায় রাজ্য ফুটবল অ্যাকাডেমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy