Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হারের আতঙ্কের মধ্যে ‘যন্ত্রণা’ লক্ষ্মীর চোট

প্রথম রঞ্জি যুদ্ধে নেমেই প্রবল চাপে পড়ে গেল বাংলা। প্রথমত, অমিত শক্তিধর কর্নাটক বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ৩১২ রানের জবাবে ৫৩৭-৯ ডি: চাপিয়ে দিল। লিড নিয়ে নিল ২২৫ রানের। যা তাড়া করতে গিয়ে ৫৮-২ হয়ে গেল বাংলা। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়। এ সবের মধ্যে লক্ষ্মীরতন শুক্ল আবার হাঁটুতে চোট পেয়ে টিমের টেনশন বাড়িয়ে রাখলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৪৩
Share: Save:

প্রথম রঞ্জি যুদ্ধে নেমেই প্রবল চাপে পড়ে গেল বাংলা। প্রথমত, অমিত শক্তিধর কর্নাটক বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ৩১২ রানের জবাবে ৫৩৭-৯ ডি: চাপিয়ে দিল। লিড নিয়ে নিল ২২৫ রানের। যা তাড়া করতে গিয়ে ৫৮-২ হয়ে গেল বাংলা। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়। এ সবের মধ্যে লক্ষ্মীরতন শুক্ল আবার হাঁটুতে চোট পেয়ে টিমের টেনশন বাড়িয়ে রাখলেন।

শনিবার প্রজ্ঞান ওঝার বলে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান লক্ষ্মী। পরে বল করতে এলে যন্ত্রণা এতটাই বাড়ে যে ওভার সম্পূর্ণ না করেই বেরিয়ে যেতে হয় লক্ষ্মীকে। আজ, রবিবার ম্যাচের শেষ দিন। বাংলা শিবির থেকে প্রবল চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে তাঁকে নামানো যায়। লক্ষ্মী প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন নিয়ে নেমে যেতে পারেন বলেও শোনা গেল। কিন্তু তার কী হবে, নিশ্চিত নয়। ঘরের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রঞ্জিতে তাঁকে পাওয়া নিয়ে মৃদু আশঙ্কা কোনও কোনও মহলে তৈরি হচ্ছে।

মাঠে আবার মনোজ তিওয়ারির বাংলা ভাল রকম ‘চোট’ পেল কর্নাটকের শ্রেয়স গোপালের সামনে। গত কাল করুণ নায়ার সেঞ্চুরি করে এবং গোপাল হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন। এ দিন নায়ার গত দিনের স্কোরের সঙ্গে সাত রান যোগ করে ১২৬ রানে ফিরে গেলেন ঠিকই, কিন্তু গোপাল সেঞ্চুরি করে গেলেন। কর্নাটক ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। করলেন ১৩৯। শেষ পর্যন্ত ৫৩৭-৯ স্কোরে ডিক্লেয়ার করে কর্নাটক। জবাবে ইতিমধ্যে ৫৮ রানে দু’টো বেরিয়ে গিয়েছে বাংলার। অভিষেক দাস (১৪) ও শ্রীবৎস গোস্বামী (১৪) ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন। ক্রিজে আপাতত নাভেদ আহমেদ (২৪ ন:আ:) এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১ ন:আ:)। বাংলা শিবিরের কেউ কেউ আশাবাদী যে, সুদীপ প্রথম ইনিংসের মতো দাঁড়িয়ে গেলে, ঋদ্ধিমান সাহাকে ফের ‘প্রাচীর’ দেখালে অসম্ভব সম্ভব। মানে, বাকি আট উইকেট দিয়ে গোটা দিন টিকে হার বাঁচানো সম্ভব। মনে করা হচ্ছে, এই অবস্থায় কর্নাটকের পকেট থেকে কোনওক্রমে এক পয়েন্ট বার করা গেলেই সেটাকে ‘জয়’ হিসেবে ধরা হবে। বাংলা বোলারদের অবস্থাও বেশ তথৈবচ। বীরপ্রতাপ সিংহের চার উইকেট বাদ দিলে মনে রাখার মতো কিছু নেই। প্রজ্ঞান ওঝাও গোটা ইনিংসে একটার বেশি উইকেট বার করতে পারেননি। দিয়েছেন ১৫২ রান। যা দেখে ইডেনে বাংলার ম্যাচ স্পিনিং ট্র্যাকে করার দাবি কেউ কেউ তুলতে শুরু করেছেন। বক্তব্য, চিন্নাস্বামীর সবুজ উইকেটে বঙ্গ পেসারদের হাল তো দেখা গেল। ওঝা যখন আছে, তখন ঘরের মাঠে স্পিনিং ট্র্যাক নেওয়াই ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE