লা লিগায় জোড়া গোলে দাপট মেসির

বার্সেলোনা ৩ • আলাভেস ০

নতুন লা লিগায় শুরু হয়ে গেল মেসি-জাদু। প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আলাভেসকে ৩-০ হারাল বার্সেলোনা। দলের দ্বিতীয় গোল করলেন ফিলিপে কুটিনহো।

বার্সার গোল করা শুরু লিয়োনেল মেসির অসাধারণ ফ্রি কিক থেকে। খেলার ৬৪ মিনিটে আলাভেসের প্রাচীর ভেদ করে যা জালে জড়িয়ে যায়। এটা আবার লা লিগায় বার্সেলোনার ছ’হাজার নম্বর গোল। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমে হঠাৎ কাট করে বিপক্ষ বক্সে ঢুকে বাঁক খাওয়ানো শটে ২-০ করেন কুটিনহো। এই গোল আসে খেলার ৮৩ মিনিটে। আর সংযুক্ত সময়ের ২ মিনিটের মাথায় লুইস সুয়ারেসের পাস বুক দিয়ে নামিয়ে বিপক্ষের দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিচু শটে ৩-০ করেন বার্সা অধিনায়ক। মজা হচ্ছে এই ম্যাচে মেসি আরও দু’টি গোল করতে পারতেন কারণ দু’বার তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। যার একটা আবার ফ্রি কিক থেকে নেওয়া। এমনিতে মেসি মানেই রেকর্ড! এই নিয়ে তিনি টানা পনেরোটি লা লিগা মরসুমে গোল করে ফেললেন।

অবশ্য শনিবার ভারতীয় সময় মাঝরাতে বার্সার প্রতিপক্ষ আলাভেস সেই অর্থে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। যেতে পারেনি পাল্টা আক্রমণেও। তবু এটাই আশ্চর্যের যে খেলা শুরুর প্রায় আধ ঘণ্টা পরে প্রথম গোল পায় বার্সা। অথচ গোটা ম্যাচে আলাভেস মাত্র বার তিনেক বার্সার গোল লক্ষ করে শট নিতে পেরেছে। বলা বাহুল্য তার একটাও ঠিকঠাক হয়নি। এবং সারা ম্যাচে তাদের বল নিয়ন্ত্রণ ছিল মাত্র ২১ শতাংশ।

মেসি কিন্তু আট বছর আগে লা লিগায় বার্সার পাঁচ হাজার নম্বর গোলটিও করেছিলেন। আর বার্সার মোট গোলের প্রায় সাড়ে ছ’শতাংশই করেছেন এ বারের বার্সা অধিনায়ক।

নতুন মরসুমের শুরুতেই বার্সায় আবার সেই মেসি-জাদু ফেরায় উচ্ছ্বসিত বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। তাঁর কথা, ‘‘এক অবিশ্বাস্য প্রতিভার নাম মেসি। আমরা খুবই ভাগ্যবান যে ওকে প্রতিদিনই প্রায় দেখতে পাই। আরও ভাগ্যবান কারণ এমন একটা সময়ে ফুটবল খেলাটার সঙ্গে আমরা জড়িয়ে পড়েছি, যখন ও খেলছে। প্রতিদিনই চাই, মেসি জাদুকরের মতো টুপির ভিতর থেকে একটা করে খরগোশ বের করে আনুক।’’ এখানেই থামেননি বার্সা কোচ। তাঁর আরও প্রতিক্রিয়া, ‘‘জানি না, আরও কত রকম ভাবে ও আমাদের বিস্মিত করে যাবে। আমাকে অন্তত সব সময় ও অবাক করে যায়। ও যেন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সেটা পারে কারণ ও যে ভাবে সব কিছু দেখে, সে ভাবে অন্য কেউ দেখে না।’’