অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হার। দ্বিতীয় টেস্টে ৭৫ রানে জয়। কিছুটা লড়াই করেই ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়া। চতুর্থ দিনেই ম্যাচ শেষ করে দেওয়া। সবই ছিল দ্বিতীয় দিনের ম্যাচে। শেষটা যে ভাবে করল ভারতীয় দল ঠিক সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়েই সাংবাদিক সম্মেলনে ছক্কা হাঁকালেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। মাঠের মধ্যে ডিআরএস নিয়ে যে নাটক ঘটে গেল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় সেই প্রসঙ্গ টেনেই পুরো ঘটনাকে প্রতারণা বলে আখ্যা দিলেন বিরাট।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল সেই সময়?
আরও খবর: ভারতের সফলতম টেস্ট বোলার তালিকায় অশ্বিন পাঁচে
উমেশ যাদবের বলে এলবিডব্লু হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। আম্পায়ার আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন। তখন ২৮ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। আম্পায়ার আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন। ডিআরএস নিতে হলে সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন জানাতে হয়। কিন্ত স্মিথের ক্ষেত্রে তেমনটা হল না। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর একটু সময় নিলেন। ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ইশারায় কিছু জানতে চাইলেন। তার পর সিদ্ধান্ত নিলেন ডিআরএস-এর। সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রতিবাদ করেন বিরাট কোহালি অ্যান্ড টিম। মেনে নেননি আম্পায়ারও। গজগজ করতে করতেই মাঠ ছা়ড়েন স্মিথ। কোহালি বলেন, ‘‘আমরা ডিআরএস-এ হয়তো অসফল কিন্তু অসততা করিনি। মাঠের সিদ্ধান্ত মাঠেই নিয়েছি। ড্রেসিংরুম থেকে নিশ্চয়তা চাইনি।’’
এটা যে একবার হয়নি বা এই প্রথম নয় সেটাও জানিয়েছেন বিরাট। বলেন, ‘‘যখন ব্যাট করছিলাম তখন আমি এই একই ঘটনা দু’বার দেখেছি। আমি দেখেছি ওদের প্লেয়াররা উপরের দিকে তাকাচ্ছে যেখানে ড্রেসিংরুম। আমি আম্পায়ারকে বলেছিলাম। এটা বন্ধ করা উচিত, মুখে না বললেও এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। এরকম কখনও ক্রিকেট ফিল্ডে আমি করিনি।’’ দ্বিতীয় ইনিংসের ২১তম ওভারের ঘটনা। যার পর অবশ্য ১১২ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। বলেন, ‘‘ডিআরএস-এর নিয়ম অনুযায়ী ড্রেসিংরুম থেকে কোনও বার্তা বা ইঙ্গিত দেওয়া যাবে না।’’ স্মিথ ফিরে গেল কোহালিকে দেখা যায় আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy