Advertisement
০২ মে ২০২৪

ওজ়নিয়াকিকে হারিয়ে জবাব শারাপোভার

শুক্রবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি পড়েছিল। তখন কে ভেবেছিল, মেলবোর্নের মেঘের মতোই দেখা যাবে অশ্রুসিক্ত ওজ়নিয়াকিকে।

তৃপ্ত: গত বারের চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে শারাপোভা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

তৃপ্ত: গত বারের চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে শারাপোভা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

রজার ফেডেরারের বয়স এখন ৩৭। রাফায়েল নাদালের ৩২। এই বয়সেও তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্ম নাকানিচোবানি খাচ্ছে। শুক্রবার অস্ট্রেলীয় ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে ফেডেরার ২১ বছরের মার্কিনী টেলর ফ্রিটজকে উড়িয়ে দিলেন ৮৮ মিনিটে। এখানে নিজের ১০০ নম্বর ম্যাচটা সুইস মহাতারকা জিতলেন ৬-২, ৭-৫, ৬-২। আর নাদাল খেললেন ১৯ বছরের অস্ট্রেলীয় অ্যালেক্স ডি মিনাউরের বিরুদ্ধে এবং হাসতে হাসতে জিতলেন ৬-১, ৬-২, ৬-৪ সেটে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, রড লেভার এরিনায় পুরুষদের ফাইনালের আগে হয়তো আর একটা ফেডেরার বনাম নাদাল ম্যাচ দেখা যাবে! কিন্তু শুক্রবারের মেলবোর্ন জুড়ে আলোচনা ছিল একটাই। মারিয়া শারাপোভার কাছে মেয়েদের গত বারের চ্যাম্পিয়ন ক্যারোলিন ওজ়নিয়াকির হার!

শুক্রবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি পড়েছিল। তখন কে ভেবেছিল, মেলবোর্নের মেঘের মতোই দেখা যাবে অশ্রুসিক্ত ওজ়নিয়াকিকে। তাঁর স্বপ্ন ছিল, টানা দু’বার অস্ট্রেলীয় ওপেনে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ধরার। কিন্তু শারাপোভা ভেবেছিলেন অন্য কিছু। কে বলবে, বহু বহু আগে বিশ্বের এক নম্বর ছিলেন মারিয়া। পনেরো মাসের নির্বাসন কাটিয়ে সার্কিটে ফিরে নিজের খেলায় ছিঁটেফোটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। যে কারণে ওজ়নিয়াকিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন সবাই। কিন্তু রুশ সুন্দরীর টেনিস থেকে জেদ আর লড়াই যে চলে যায়নি, তা সব চেয়ে ভাল টের পেলেন তাঁর ড্যানিশ প্রতিপক্ষ, যিনি মরসুমের প্রথম গ্র্য়ান্ড স্ল্যামে তৃতীয় বাছাই ছিলেন। ম্যাচ শেষের স্কোর বলল, জিতেছেন মারিয়াই! ৬-৪, ৪-৬, ৬-৩। আক্ষরিক নক্ষত্রপতন ঘটিয়ে প্রতিশোধও নিয়েছেন।

ডোপিংয়ে কলঙ্কিত মারিয়া নির্বাসন শেষ করে কোর্টে ফিরলে এই ওজ়নিয়াকিই বলেছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র ওর গ্ল্যামারের জন্যই এত দিন বাইরে থেকেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বাছাই তালিকায় দিব্যি জায়গা করে নিচ্ছে।’’ শারাপোভা কিন্তু পাল্টা কিছু বলেননি। বললেন না শুক্রবার ওজ়নিয়াকিকে হারিয়েও। হয়তো ঠিক করে রেখেছিলেন, জবাবটা কোর্টে দেবেন। দিলেনও। এবং এই জয়ে তাঁর শরীরী ভাষায় চুঁইয়ে পড়ল তৃপ্তি। দু’হাত তুলে দর্শকদের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে তাঁর মুখে খেলে গেল বিখ্যাত সেই হাসি। ভুললেন না, শূন্যে চুম্বন ছুড়ে দিতেও। কোন রহস্যে জয়? এমন প্রশ্নে মারিয়ার জবাব, ‘‘অভিজ্ঞতা এক অমূল্য বস্তু। জানতাম ও গত বারের চ্যাম্পিয়ন। আমার মতো না হলেও, অভিজ্ঞতাতেও খুব পিছিয়ে নেই। কিন্তু এই মানের ম্যাচের জন্যই তো এত দিন নিজেকে তৈরি করেছি। তাই শেষ পয়েন্টও আমিই জিতলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE