অঙ্কটা সহজ। ন্যু ক্যাম্পে বুধবার লিয়ঁকে হারাতেই হবে বার্সেলোনার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা সেটা হলেই নিশ্চিত হবে লিয়োনেল মেসিদের। এমনকি ফ্রান্সের ক্লাব ম্যাচটা ড্র করতে পারলেই ঘটে যাবে বিরাট অঘটন।
বার্সা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে বলছেন, ‘‘ফুটবলারদের এই ম্যাচের জন্য উদ্বুদ্ধ করার দরকার পড়বে না। রায়ো ভায়েকানো বা রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধেও পড়েনি। সবাই জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব। তার উপর পরের পর অঘটন ঘটছে। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, প্রচণ্ড সতর্ক থাকতে হবে।’’
ফ্রান্সে প্রথম লেগে দু’দলের লড়াই ০-০ ড্র হয়। হতে পারে ভালভার্দের উদ্বেগে থাকার এটা একটা বড় কারণ। যদিও ঘরের মাঠে বার্সার রেকর্ড দুরন্ত। শেষ ২৯ ম্যাচের ২৬টিতেই জিতেছেন মেসিরা। বার্সার কাছে তিনটি বাইরের খেলা খেলে সব ম্যাচে হেরেছে লিয়ঁ।
তবু উদ্বেগ কেন? স্পেনের কাগজে লেখা হচ্ছে একটাই কারণ, ওসুমানে দেম্বেলের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। লিয়ঁ ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই। মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে আক্রমণে তৃতীয় ব্যক্তি কে হবেন, তা নিয়েই সংশয়। খুব খারাপ ফর্মে আছেন ফিলিপে কুটিনহো। প্রথম দলে থাকার সম্ভাবনা কম। ম্যালকম আছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার কোনও ম্যাচে তিনি প্রথম এগারোয় ছিলেন না। শোনা যাচ্ছে, অগত্যা রবের্তোকে কাল সামনে নিয়ে আসতে পারেন বার্সা ম্যানেজার।
লিয়ঁ অবশ্য দেম্বেলেদের নিয়ে নয়, আতঙ্কে মেসির জন্যই। ‘‘বিশ্বের সেরা ফুটবলার বার্সায় খেলে। এর বেশি কী বলব,’’ বলেছেন লিয়ঁর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নেবিল ফেকির। স্পেনে এখন মেসিকে নিয়েই আলোচনা। রায়ো ভায়েকানো ম্যাচে ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেফারি বার্সাকে একটা পেনাল্টি দিয়ে দিচ্ছিলেন। বক্সে যাঁকে ফাউল করা হয় সেই মেসি কিন্তু রেফারিকে বলেন, ‘‘ব্যাপারটা এমন কিছু নয়।’’ যা দেখে বার্সা সমথর্করেরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখছেন, ‘‘আশা করি লিয়ঁর বিরুদ্ধে লিয়ো মহানুভবতা দেখাবে না।’’