মিনি ডার্বির প্রস্তুতিতে মহমেডানের ডিকা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বান্ধবী জর্জেট প্রিজো-কে দিপান্দা ডিকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোহনবাগানকে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলে তবেই বিয়ে করবেন। অথচ আজ, সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগানকে হারিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে খেতাবের দৌড়ে ফিরে আসতে তিনিই প্রধান ভরসা মহমেডানের!
ফুটবল কেরিয়ারের আশ্চর্য সন্ধি ক্ষণে দাঁড়িয়েও ক্যামেরুনের ২৮ বছর বয়সি স্ট্রাইকার নির্লিপ্ত। স্যামুয়েল এটোর দেশের ডিকা বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমি মহমেডানের ফুটবলার। তবে আই লিগে মোহনবাগানের হয়ে খেলব বলেই তো সোমবার আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠে নামব।’’ মহমেডান স্ট্রাইকার মিনি ডার্বিতে মাঠে নামবেন এজে কিংগসলেকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েও। গত মরসুমে আই লিগে লাজং এফসি-তে ছিলেন তিনি। মোহনবাগান ডিফেন্ডার ছিলেন আইজল এফসি-তে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কিংগসলের উৎসব দেখেছিলেন মাঠে দাঁড়িয়ে। স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া ‘বি’ দলে খেলা ডিকার হুঙ্কার, ‘‘কল্যাণীর ডার্বিতে শেষ হাসি হাসব আমি।’’
একা ডিকা নন, শেখ ফৈয়জ এবং রানা ঘরামি-ও কলকাতা লিগ শেষ হলে যোগ দেবেন সবুজ-মেরুনে। এই পরিস্থিতিতে এই তিন ফুটবলার কি মাঠে নেমে আদৌ নিজেদের উজাড় করে দেবেন? মহমেডান কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য অবশ্য ডিকাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। কামো বায়ি-আনসুমানা ক্রোমাকে আটকানোর মহড়া শেষ করে তিনি বলে দিলেন, ‘‘আমি মনে করি না, কলকাতা লিগের পরেই মোহনবাগানে খেলবে বলে ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করবে। দ্বিতীয়ত, ওদের কাছে এই ম্যাচগুলোই হচ্ছে নিজেদের প্রমাণ করার সেরা সুযোগ।’’ তার পরেই যোগ করলেন, ‘‘যদি ওরা ঠিক মতো খেলতে না পারে, তা হলে মনে করব চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’’
সবুজ-মেরুন শিবিরের পথে পা বাড়িয়ে রাখা মহমেডান ত্রয়ীকে উজ্জীবিত করার দায়িত্বটা অবশ্য নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। রবিবাসরীয় সকালে মহমেডান মাঠে ঘণ্টা দু’য়েকের অনুশীলনে বারবারই তাঁকে দেখা গিয়েছে আলাদা করে কথা বলেছেন ডিকা, ফৈয়জ ও রানার সঙ্গে।
কী বললেন সতীর্থদের?
ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সফল বাঙালি স্ট্রাইকার বললেন, ‘‘মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে। কারণ খারাপ খেললে তোমাদেরই বিশ্বাসযোগ্যতা কমবে। তাই এই ম্যাচটাই হচ্ছে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার মঞ্চ।’’ এখানেই শেষ নয়। নিজের দলবদলের কাহিনিও ডিকাদের শুনিয়েছেন তিনি। দীপেন্দু বলছিলেন, ‘‘১৯৯৮ সালে মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ খেলার মাঝেই ইস্টবেঙ্গলকে পাকা কথা দিয়েছিলাম পরের মরসুমের জন্য। তার প্রভাব কিন্তু আমার খেলায় পড়েনি। মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেই লাল-হলুদে গিয়েছিলাম। ফৈয়জদেরও বললাম, এমন ভাবে খেলো, সবুজ-মেরুন সমর্থকরা যেন তোমাদের কাঁধে করে নিয়ে যায়।’’
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে শেষ সাতটি ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তিনটি জিতেছে মহমেডান। ড্র করেছে চারটি ম্যাচে। কল্যাণীতে কী হবে?
অনুশীলন শেষ করে মহমেডান ফুটবলারদের হুঙ্কার, ‘‘এ বারও মোহনবাগান জিতবে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy