Advertisement
E-Paper

বাগানে হঠাৎ মামুদ-আতঙ্ক

ওডাফার জন্য তা হলে জোনাল মার্কিং-ই? ‘‘আর কী করব? মাঠটার অবস্থা দেখছেন? এবড়ো-খেবড়ো গর্তে ভরা। ঘাস বড় বড়। স্লো ফুটবলার দারুণ খেলবে। আমার সনি নর্ডির সমস্যা হবে।’’ ফতোরদা স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় সেন যখন এ কথা বলছেন, ততক্ষণে পানাজি থেকে মারগাওয়ের হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছেন স্পোর্টিং ক্লুব এবং তার অধিনায়ক।

রতন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৬ ০৩:০১
শিবির সবুজ-মেরুন। প্র্যাকটিসে সঞ্জয়ের বাঁশির ছন্দে দেবজিৎ। ছবি: উৎপল সরকার

শিবির সবুজ-মেরুন। প্র্যাকটিসে সঞ্জয়ের বাঁশির ছন্দে দেবজিৎ। ছবি: উৎপল সরকার

ওডাফার জন্য তা হলে জোনাল মার্কিং-ই?

‘‘আর কী করব? মাঠটার অবস্থা দেখছেন? এবড়ো-খেবড়ো গর্তে ভরা। ঘাস বড় বড়। স্লো ফুটবলার দারুণ খেলবে। আমার সনি নর্ডির সমস্যা হবে।’’ ফতোরদা স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় সেন যখন এ কথা বলছেন, ততক্ষণে পানাজি থেকে মারগাওয়ের হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছেন স্পোর্টিং ক্লুব এবং তার অধিনায়ক।

সামনে বাগান মানেই ওডাফার বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ। গত বার এই মাঠেই সনি-কাতসুমিদের হারিয়ে ছিলেন জোড়া গোল করে। এ বার টার্গেট কী? ‘‘কী আবার? দশ নম্বর ম্যাচে মোহনবাগান হারবে। ওডাফা গোল করবে।’’ অনেক লুকোচুরি চলার পর রাতে টিম হোটেল থেকে আনন্দবাজারকে ফোনে বললেন ‘বৃদ্ধ’ নাইজিরিয়ান সিংহ। বারাসতে পারেননি। ঘরের মাঠে তাঁকে তো গর্জন দিতেই হবে।

এ বার ঘরের মাঠে ওডাফা-জ্বরে ম্যাচের আগে যে রকম আক্রান্ত ছিল বাগান, ওডাফার পাড়ায় কিন্তু লড়াইয়ের আগের দিন লুসিয়ানো-কিংশুকরা ততটা আতঙ্কে নেই। হয়তো আই লিগের এই গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে। বাগানে সবাই যেন এড়িয়ে যেতে চাইছেন ওডাফা নামটাই। কার্ড-মুক্ত সেন্টার ব্যাক লুসিয়ানো ফিরছেন এই ম্যাচে। ওডাফাকে থামানোর দায়িত্ব এই ব্রাজিলিানের ঘাড়েই। বলছিলেন, ‘‘ওডাফা বড় ফুটবলার। কিন্তু আমরা একটা দল টিম হিসেবে খেলছি। বাগানে কেউ একা নয়। সবাই মিলে জিততে চাই, সবাই মিলেই ও়ডাফাকে আটকাতে হবে।’’

এটা ঘটনা যে, গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এ বারও চলছে তেল খাওয়া মেশিনের মতো। প্রথম দলে ঢোকার তীব্র লড়াই থাকা সত্ত্বেও ড্রেসিংরুম এমনই আত্মবিশ্বাসী যে, জেতার জন্য গোটা স্কোয়াড যেন খেলছে। একটা ম্যাচ জিতে ওঠার পরেই বাগান কোচ পরের লক্ষ্য বেঁধে দিচ্ছেন, আর দম দেওয়া পুতুলের মতো দৌড়চ্ছেন সনি-জেজে-গ্লেনরা। ফতোরদা মাঠের গর্তগুলো প্লাস্টিকের বাটি দিয়ে ঢেকে দূর থেকে শট মারছিলেন কাতসুমিরা। তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ছিল গোলে। সিচুয়েশন অনুশীলন করালেন সঞ্জয়। সেখানেও সবাই নিখুঁত হওয়ার চেষ্টায়। আর তা দেখে প্রথম একাদশ বাছতে হিমশিম বাগান কোচ। লেনি প্রথম ম্যাচে নেমেই অসাধারণ খেলেছেন। তাঁকে বসানো যাচ্ছে না। তা হলে প্রণয় হালদার কী করবেন? রাতের ঘুম ছুটেছে সঞ্জয়ের।

‘‘সবাই ভাবছে মেরে দেব। অত সোজা নয়। ওদের মামুদ বলে সিরিয়ানটা ঢুকেছে টিমে। আমাকে ডিফেন্স আরও শক্ত করতে হবে। কাতসুমিকে বসিয়েও প্রণয়কে খেলাতে পারি।’’ কথাতেই বোঝা যায়, প্রথমে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চাইছেন বাগান কোচ। তার পরে ঝাঁপাবেন তিন পয়েন্টের জন্য। পানাজিত এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ওডাফাদের কোচ ম্যাথু কোস্টা বলেছেন, ‘‘বাগানকে হারিয়ে এ বার লিগে ইতিহাস হব আমরা। তবে তার জন্য দু’শো ভাগ দিতে হবে।’’

দেখার অতটা দেওয়ার এখনও দম আছে কি না ওডাফার!

আজ আই লিগে
মোহনবাগান: স্পোর্টিং ক্লুব (ফতোরদা, ৭-০৫)

Mohun Bagan plans to stop Mahmud AL-Amna Syrian player i league
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy