মোহনবাগান ১ (জেজে)
লাজং ১ (কোনসাম)
কর্নেল গ্লেনের টিপস কাজে লাগল না। ঘরের মাঠে লাজং এফসির বিরুদ্ধে আটকে গেল মোহনবাগান। মুম্বই এফসির কাছে আটকে যাওয়ার পর বেঙ্গালুরু এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল সঞ্জয় সেনের বাগান। কিন্তু কে জানত ঘরের মাঠে গোল নষ্টের মালা পরে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মোহনবাগানকে। লাজংয়ের সঙ্গে ম্যাচ মানেই কর্নেল গ্লেনের দু’বছরের অভিজ্ঞতা দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া। ম্যাচের আগে থেকে এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। কখনও কোচকে টিপস দিচ্ছেন কখনও ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের বলছেন। লাজংকে আটকাতে কী করতে হবে। কিন্তু কোনও টিপসই জয় এনে দিতে পারল না। বরং বারাসত স্টেডিয়ামে প্রথমে গোল হজম করে পিছিয়ে পরতে হল সনি, কাটসুমিদের।
কোনসাম চিঙ্গলেনসেনা সিংহর গোলে ম্যাচ শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পরে মোহনবাগান। উইলিয়ামসের কর্নার আইবর হয়ে গিয়ে পৌঁছয় কোনসামের কাছে। সার্থক গোলুইয়ের মার্কিং টপকে দেবজিতকে পরাস্ত করে মোহনবাগানকে ধাক্কাটা দিয়ে যায় লাজং। তার আগেই বাগান ডিফেন্সের ভুলে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন উইলিয়ামস। তাঁর দৌঁড়ে কেটে গিয়েছিল পর পর তিন ডিফেন্ডার। ভাগ্যিস গোলের নিচে দেবজিৎ ছিলেন। এর পর মোহনবাগান সমতায় ফিরল ৫৯ মিনিটে। জেজের গোলে। সনি, বিক্রমজিৎ হয়ে লাজং রক্ষণের ফাঁক গলে জেজের শট চলে যায় গোলে।
গোল হজম বা সমতায় ফেরা নয় এই ম্যাচে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল মোহনবাগানের একাধির গোলের সুযোগ নষ্ট। সেই তালিকায় পর পর নাম লিখিয়ে গেলেন সনি, জেজে, কাটসুমি, বলবন্তরা। গোল মিসের সঙ্গে সঞ্জয় সেনকে চিন্তায় রাখবে দলের রক্ষণ। একমাত্র ভরসা দিলেন দলের শেষ রক্ষণ। দিনের সেরা সেভগুলি এল তাঁর হাত থেকেই। পর পর দু’বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে মরশুম শুরু করা মোহনবাগান শিবিরকে চোখে আঙুল দিয়ে লাজং দেখিয়ে গেল এখনও সমস্যার পাহাড়েই রয়েছে সবজ-মেরুণ। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে সমস্যা।
আরও খবর
আমোদপ্রমোদ বন্ধ নেইমারের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy