মিনার্ভার বিরুদ্ধেও ইস্টবেঙ্গল টিমে জায়গা হল না অবিনাশ রুইদাসের। গোয়ায় অভব্যতার পর বেঙ্গালুরু ম্যাচেও তাঁকে টিমে রাখেননি লাল-হলুদ কোচ। লুধিয়ানাতেও দলে বজবজের ছেলে নেই। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সন্ধ্যা নাগাদ লুধিয়ানা পৌঁছলেন মেহতাব-ওয়ে়ডসনরা। দিল্লি থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। লুধিয়ানাতেও পৌঁছে আরও ঠাণ্ডা এবং বৃষ্টির মুখে পড়ে লাল-হলুদ। অফিস খেলা থাকায় যেতে পারেননি মহম্মদ রফিক।
ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে বেশ চনমনে ইস্টবেঙ্গল শিবির। তার উপর মঙ্গলবার পুণের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে মোহনবাগান তাদের অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করায় মর্গ্যানের টিম যেন আরও উজ্জ্বীবিত। যদিও লাল-হলুদ কোচ তা স্বীকার করতে নারাজ। লুধিয়ানা যাওয়ার আগে মেহতাবদের ব্রিটিশ কোচ বলে যান, ‘‘আমরা নিজেদের টিম নিয়েই ভাবছি। মোহনবাগান কী করল তা নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই।’’
সাহেব কোচ সঙ্গে এটাও বলে দেন, ‘‘মিনার্ভার খেলা টিভিতে দেখেছি। ওরা ঘরের মাঠে খেলবে। যেহেতু এ বারের আই লিগে টিমগুলোর মধ্যে উনিশ-বিশ ফারাক। তাই বেঙ্গালুরু ম্যাচের মতোই মিনার্ভার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’’
লুধিয়ানা যাওয়ার আগে যুব দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলেছিলেন সিনিয়ররা। সেই টিমে চোট সারিয়ে ফেরা অর্ণব মণ্ডলের সঙ্গে রেখেছিলেন আমিরভকেও। ম্যাচে অর্ণবরা জিতেছিলেন ৩-০। যার মধ্যে একটা গোল আমিরভের। কিন্তু আমিরভের পারফরম্যান্স সে ভাবে চোখে পড়েনি। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে কিরঘিজ স্ট্রাইকারকে তুলে নেন কোচ। যদিও মিডিয়ার কাছে এই ফুটবলারকে নিয়ে এখনও কোনও অসন্তোষ দেখাননি মর্গ্যান। বলেন, ‘‘আমিরভ এ দেশে নতুন। ওকে আরও সময় দিতে হবে।’’
মর্গ্যান যখন অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহের চেষ্টায় তখন কলম্বোয় যাওয়ার প্রস্তুতিতে সামান্য হলেও ধাক্কা খেল মোহনবাগান। চোটের জন্য দলের সঙ্গে যেতে পারছেন না এডুয়ার্ডো। তাঁকে নিয়ে শুরু থেকেই বাগানে বিতর্ক। কারণ প্রত্যাশা অনুযায়ী তিনি খেলতে পারছেন না। গোড়ালিতে চোট পাওয়া সনি নর্ডিও যাবেন কী না তা বাগান কোচ ঠিক করবেন আজ শুক্রবার অনুশীলনের পর। কাতসুমিদের কোচ বললেন, ‘‘সনির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও যাবে না বলেনি। অনুশীলনে দেখে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব।’’ আপাতত এ এফ সি ম্যাচ নিয়ে ভাবলেও শিবাজিয়ান্স ম্যাচের পয়েন্ট নষ্ট নিয়েও বিশ্লেষণ করছেন সঞ্জয়।