হঠাৎই বদলে গেল ছবিটা!
আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল কোচ হওয়ার দৌড়ে এত দিন এগিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর লাইসেন্সিং পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি চলছে ফেডারেশনে। কোচিং করানোর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও তিনি চলতি মরসুমের শুরুর দিকেই পেয়ে যেতে পারেন বলে খবর ফেডারেশন সূত্রে। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎই লাল-হলুদের কোচের দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন ক্লাবের প্রাক্তন ব্রিটিশ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান।
সূত্রের খবর, মর্গ্যানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত কথাবার্তা হয়েছে লাল-হলুদের দুই কর্তার। সদ্যসমাপ্ত মরসুমে ডেম্পোর কোচ ছিলেন মর্গ্যান। এই মুহূর্তে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাড়িতে। কিন্তু কলকাতায় তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মর্গ্যান ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে তাঁর প্রাথমিক আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, পরবর্তী কোচ কে হবেন— সুভাষ না মর্গ্যান তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর ও কর্তারা। যদিও এ ব্যাপারে কর্তারা কিছু মন্তব্য করতে নারাজ। তবে মর্গ্যান-ইস্যুতে ক্লাবেরই একটি অংশের অভিমত, তিনি যদি খুব বড় কোচ হয়ে থাকেন, তা হলে ডেম্পোর অবনমন বাঁচাতে পারলেন না কেন?
এরই মাঝে অভিষেক দাস, জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস, বলজিৎ সিংহ সাইনি, অভিজিৎ মণ্ডল-সহ একঝাঁক ফুটবলারের চুক্তির মেয়াদ শেষ ইস্টবেঙ্গলে। এখনও চুক্তি নবীকরণ হয়নি সুবোধ কুমারেরও। গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র ট্রফি কলকাতা লিগে লাল-হলুদ ব্রিগেড খেতাবের লড়াইয়ে ফিরেছিল এরিয়ান ম্যাচে শেষ মুহূর্তে সুবোধ কুমারের গোলেই। টিএফএর প্রাক্তন ‘বেস্ট ক্যাডেট’ সুবোধ এ দিনই ফিরে গিয়েছেন রাঁচির বাড়িতে।
গত মরসুমের শেষের দিকে লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে বেশ কয়েকটি অবাঞ্ছিত ঘটনায় কর্তারা বেশ বিরক্ত। পরের মরসুমের দল গঠন সম্পর্কে ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘বিদেশি বাদ দিলে গত মরসুমের টিমটাকেই ধরে রাখছি আমরা। তবে আর্থিক সমস্যা থাকায় আমাদের প্রস্তাব কোনও ফুটবলারের পছন্দ না হলে সেই প্লেয়ার অন্য টিম দেখে নিতে পারে।’’ একই সঙ্গে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ফুটবলারদের ড্রেসিংরুম-একতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি টিমের প্রতি দায়বদ্ধতাও বাড়াতে হবে।’’
এরই মাঝে আই লিগে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল কিপার শুভাশিস রায়চৌধুরী রি-হ্যাবের জন্য ব্রাজিল যাচ্ছেন। জুনের মাঝামাঝি ব্রাজিল গিয়ে ফিরবেন এক মাস বাদে।