কাপ-কান্না অতীত। নতুন লক্ষ্যে নেমে পড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মর্নি মর্কেল। শনিবার ইডেনে নাইটদের প্র্যাকটিসে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
সুনীল নারিনকে ঘিরে কেকেআরের আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন।
শনিবার রাত পর্যন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্টের অফিসে তাঁর অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট ঢুকেছে, কেউ বলতে পারলেন না। ক্যারিবিয়ান অফস্পিনারের ভাগ্য কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা সম্পর্কে ন্যূনতম আন্দাজ বোর্ড বা কেকেআর— দু’পক্ষের কারও এখনও পর্যন্ত নেই। শুধু তাই নয়, নারিনকে কেকেআর প্র্যাকটিসেও বার করা হল না। টিমের দ্বিতীয় দিনের নেটেও।
কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর এ দিন এসেছিলেন ইডেনে। বেরনোর সময় বললেন, জেটল্যাগের কারণে এ দিন প্র্যাকটিসে আসেননি নারিন। আর টিমের এক নম্বর বোলিং অস্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বোর্ডের সঙ্গে ওর ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আরও এক দিন আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। আশা করছি, তার পরই পরিষ্কার হবে।’’
জল্পনা সত্যি হলে, সেটা হতে হতে সোমবার। নারিন এ দিন শুধু যে কেকেআর প্র্যাকটিস থেকে অদৃশ্য হলেন তা-ই নন, টিম হোটেলেও তাঁকে নাকি ঘরের বাইরে কেউ বিশেষ দেখেননি। সকালের দিকে একবার ব্রেকফাস্ট টেবলে, ব্যস। যা নিয়ে মি়ডিয়ায় চর্চা হতে দেখে কোনও কোনও কেকেআর কর্তা বললেন, পুরো টিম এখনও মাঠে যাচ্ছে না। কয়েক জন ক্রিকেটারের আসা এখনও বাকি। আর নারিন যাবেনই বা কেন? তিনি আইপিএল আটে খেলতে পারবেন কি না, এখনও নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে আগেভাগে প্র্যাকটিস করে কী লাভ?
কেকেআরের কেউ কেউ আরও একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। বলা হচ্ছে, নারিন যদি দুর্ভাগ্যক্রমে অ্যাকশন টেস্টে পাশ না করতে পারেন, তা হলে কী হবে? তাঁর কি দ্বিতীয় বার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হবে? বলা হচ্ছে, বোর্ড কর্তাদের বারবার জিজ্ঞেস করেও কোনও নির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ইডেনের উইকেট— সেটা এখনও সবুজ। ঘাসের উইকেট রেখে দেওয়া হয়েছে এখনও। যেখানে এটা সর্বজনবিদিত যে, কেকেআরের প্রধান ভরসা স্পিন। এ দিন প্র্যাকটিস উইকেট নিয়ে ছুটকো সমস্যা দেখা দিল। গম্ভীরদের জন্য ইডেনে যে প্র্যাকটিস উইকেটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তাতেও ঘাসের আধিক্য। শোনা গেল, তাতে নাকি কেকেআরের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কিছুটা বিরক্ত হয়ে মাঠকর্মীদের জিজ্ঞেসও করেন যে এটা কী ধরনের প্র্যাকটিস উইকেট? ঘাস কিছুটা নাকি ছাঁটতেও বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়েও আবার সমস্যা আছে। বলা হচ্ছে, চব্বিশ মে পর্যন্ত টানতে হবে এই একই প্র্যাকটিস উইকেট দিয়ে। এখন বেশি ঘাস ছাঁটতে যাওয়া তাই মুশকিল। তাতে নাকি বাঁধুনি কমে যাবে উইকেটের।
নাইট শিবিরে বাংলার জুনিয়র
নাইট রাইডার্স প্র্যাকটিসে আচমকাই দেখা গেল বাংলার জুনিয়র কয়েক জন প্রতিশ্রুতিমান বোলারকে। তবে নেট বোলার হিসেবে নয়। পেসার হিসেবে প্রীতম চক্রবর্তী, কনিষ্ক শেঠ, অনন্ত সাহাদের ডাকা হয়েছে। স্পিনারদের মধ্যে ডাকা হয়েছে আমির গনিকে। শোনা গেল, নেট বোলার হিসেবে নয়। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বাংলার কয়েক প্রতিশ্রুতিমান বোলারকে দেখে নিতে চাইছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy