পিঙ্ক বলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন নাথান লিয়ন। -ফাইল চিত্র।
৪ বছর আগে শেষ বার টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন মোজেস হেনরিকস। আবার সুযোগ এসে গিয়েছে তাঁর সামনে। অ্যাডিলেড ওভালে পিঙ্ক বল টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলে ডাকা হয়েছে হেনরিকসকে।
প্রস্তুতি ম্যাচে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেই কারণেই ডাকা হয়েছে হেনরিকসকে। প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়ায় প্রথম টেস্টের দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন জোরে বোলার শন অ্যাবটও। সিডনিতে রিহ্যাবে থাকবেন তিনি।
এ দিকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামার আগে মিস্ট্রি বল আয়ত্ত করেছেন নাথান লিয়ন। তবে সেই বলের নামকরণ এখনও করেননি তিনি। ৩৩ বছর বয়সী অফস্পিনার বলছেন, “আমি নিজের বোলিং নিয়ে সব সময়ে কাজ করে চলেছি। অ্যাডিলেডে বল করার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। নতুন ডেলিভারি নিয়ে খাটাখাটি করলেও তার নামকরণ অবশ্য এখনও করিনি। প্রথম টেস্টের আগে নিশ্চয় তার নাম ঠিক হয়ে যাবে।”
গোলাপি বলে বোলিং করতে চান লিয়ন। পিঙ্ক বলে তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেই পারেন। লিয়ন বলেছেন, “যে কোনও বলেই বল করা উপভোগ করি। অ্যাডিলেডের উইকেট বিশ্বের সেরা। কিউরেটর দারুণ উইকেট তৈরি করেছেন।” ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর রীতিমতো সাফল্য রয়েছে। ১৮ টেস্ট ম্যাচ থেকে ৮৫ উইকেট নিয়েছেন লিয়ন। তার মধ্যে ৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন। চিন্নাস্বামীতে ৫০ রানের বিনিময়ে ৮টি উইকেটই এখনও পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে সেরা বোলিং। লিয়ন বলছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে খেলা আমি সব সময়েই উপভোগ করি। ভাল স্পিন খেলতে পারে এমন বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ব্যাটসসম্যান রয়েছে ভারতের। ফলে বল করা বড় চ্যালেঞ্জ। আর স্পিন বোলিংয়ে সেরা ব্যাটসম্যানদেরই আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাই।”
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব চাপে ফেলবে না রাহানেকে, বিশ্বাস গাওস্করের
টেস্ট দলে নেই সাদা বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে প্রথম টেস্ট ম্যাচের বল গড়ানোর আগে অজি বোলারদের সতর্ক করে দিচ্ছেন তিনি। ফিঞ্চ মনে করছেন, বিরাট কোহালিকে সামলানোর ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। কোহালিকে তাতিয়ে দিলে তার ফলাফল হিতে বিপরীত হতে পারে। অতীতে দেখা গিয়েছে, কোহালিকে উত্তেজিত করলেই তিনি অন্য অবতারে ধরা দেন। ভারত অধিনায়ক নিজেও তা স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোহালি এখন আগের থেকে অনেকটাই বদলেছেন বলে মনে করেন ফিঞ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের অধিনায়ক বলছেন, “আমার মনে হয় কোহালি এখন আগের থেকে অনেকটাই শান্ত হয়েছে। ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বেশ ভালই বোঝে কোহালি। তবে সব চেয়ে যে ব্যাপারটা অবাক করেছে তা হল, কোহালি নিজেকে তৈরি করার জন্য অনেক পরিকল্পনা করে। প্রতিপক্ষ নিয়েও ভাবনাচিন্তা করে খুব। তবে নিজের দলের থেকে কখনওই বিপক্ষকে বেশি গুরুত্ব দেয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy