সোমবার লোকসভায় বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্যে পাস হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল এবং জাতীয় ডোপ-বিরোধী সংশোধনী বিল। বাদল অধিবেশনের মধ্যে উভয় বিলই পেশ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। প্রথমে পাস হয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। পরে দুপুর ২ টোয় পাস হয় জাতীয় ডোপ-বিরোধী সংশোধনী বিল।
ক্রীড়া প্রশাসন বিলের মধ্যে ক্রিকেট ও ফুটবল প্রশাসনে একাধিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। ক্রিকেট প্রশাসনে যেমন প্রত্যেকটি রাজ্য সংস্থায় ৭০-এর ঊর্ধ্বে কেউ পদাধিকার পেতেন না। এ বার থেকে সেই মাপকাঠি বেড়ে হয়েছে ৭৫। অর্থাৎ ৭৫ বছর পর্যন্ত যে কোনও রাজ্য সংস্থার নির্বাচনে লড়তে পারবেন সদস্যেরা। সিএবি নির্বাচনের আগে যা বড় খবর।
এ দিকে ফুটবল প্রশাসনে একাধিক পরিবর্তন হতে পারে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলছিলেন, ‘‘জাতীয় দলের উন্নতির নেপথ্যে কী প্রয়োজন তা দেখা হবে। ফুটবলকে আরও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। কী ভাবে ফুটবলের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতি হতে পারে তা দেখা। পাশাপাশি প্রত্যেকটি স্কুলে ফুটবলকে বাধ্যতামূলক করা হবে।’’
জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিলে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে। অন্য দিকে ডোপবিরোধী সংশোধনী বিলের ফলে দেশের ডোপ বিরোধী সংস্থা (নাডা) বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা)-র নির্দেশ মেনে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে। ফলে খেলাধুলোর ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আসবে।
এই বিলের লক্ষ্য নিয়ে বলা হয়েছে, “জাতীয় ডোপ-বিরোধী বিল প্রতিষ্ঠানগত ও কার্যগত ক্ষেত্রে জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা (নাডা) ও জাতীয় ডোপ-বিরোধী অ্যাপিল প্যানেলকে আরও স্বাধীনতা দেবে। পাশাপাশি স্বচ্ছভাবে তদন্ত করা এবং সেই মতো নির্দেশ বলবৎ করার উপরে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।”
দু’টি বিল পাস করানোর পরে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, “স্বাধীনতার পরে এই বিল ক্রীড়াক্ষেত্রে একক বৃহত্তম সংস্কারক। এই বিল দায়িত্ব এবং পেশাদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। দেশের নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় সুযোগ করে দেবে। শুধু তাই নয়, আমাদের অ্যাথলিটদের ন্যায়বিচারও সুনিশ্চিত করবে।” তাঁর সংযোজন, “ক্রীড়াজগতের পরিবর্তনে এই বিল কার্যকর হবে।” ক্রীড়া প্রশাসন বিলে জাতীয় ক্রীড়া বোর্ড (এনএসবি) গঠনের কথা বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)