উৎসাহ: সাইনির লড়াই। টুইটার
প্রায় অবিশ্বাস্য একটা জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন তিনি। অষ্টম উইকেটে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ৭৬ রান যোগ করে ভারতকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন নবদীপ সাইনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কাইল জেমিসনকে একটা ছয় মারার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান এই পেসার। নিউজ়িল্যান্ডের ২৭৩-৮ তাড়া করে ভারত থেমে যায় ২৫১ রানে। ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও হাতছাড়া হয়ে যায়। যা নিয়ে আক্ষেপ যাচ্ছে না ভারতীয় সাইনির।
শনিবার অকল্যান্ডে ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সাইনি বলেন, ‘‘আমি যদি ওই সময় আউট না হতাম, তা হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হত।’’ জেমিসনকে ছয় মারার পরেই দেখা যায় ড্রেসিংরুম থেকে বিরাট কোহালি হাত নেড়ে সাইনিকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলছেন। কিন্তু পরের বলেই স্টাম্প ছিটকে যায় সাইনির। যা নিয়ে ভারতীয় পেসার বলেছেন, ‘‘ফিরে গিয়ে যখন আউট হওয়ার ভিডিয়োটা দেখব, তখন খুব আফসোস হবে। ভেবে খারাপ লাগছে যে, এত কাছে নিয়ে এসে আউট হয়ে গেলাম। আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ম্যাচটা।’’
এই ম্যাচে একটি চমকপ্রদ ঘটনাও দেখা গিয়েছে। নিউজ়িল্যান্ডের ফিল্ডিং কোচ লিউক রঙ্কি বাধ্য হন ফিল্ডিং করতে। একটা সময় নিউজ়িল্যান্ড দলে আর কেউ ছিলেন না যিনি পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেন। জ্বর গায়ে নিজের স্পেল তাড়াতাড়ি শেষ করে উঠে যান টিম সাউদি। তার পরে বাধ্য হয়ে ফিল্ডিং করতে নামতে হয় রঙ্কিকে। নিউজ়িল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার জানান, রঙ্কি এখনও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন। অন্য এক ধারাভাষ্যকার উল্লেখ করেন, রঙ্কির জার্সিতে কিন্তু কোনও নম্বর নেই।
এ দিকে ম্যাচের আগে নেটে অনেকটা সময় কাটাতে দেখা যায় সাইনিকে। ম্যাচে নেমে তার ফলটাও পেয়েছেন তিনি। ৪৯ বলে ৪৫ রান করে যান, মারেন পাঁচটি চার, দুটি ছয়। কী মনে হচ্ছিল ব্যাট করার সময়? সাইনির জবাব, ‘‘উইকেটটা নিষ্প্রাণ ছিল। তাই জানতাম, টিকে থাকতে পারলে ওদের স্কোরের খুব কাছে চলে যেতে পারব। চেষ্টা করছিলাম, সবাই কিছু না কিছু অবদান রাখতে।’’ জাডেজা কী পরামর্শ দিয়েছিল ব্যাট করার সময়? সাইনি বলেন, ‘‘জাডেজা বলেছিল, বাউন্ডারি মারার বল পেলে মেরে দিতে। না হলে এক-দুই করে রান নিতে। ধৈর্য ধরে ব্যাট করতে, যাতে ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।’’
সাইনি জানাচ্ছেন, প্রথম বাউন্ডারি মারার পরে তিনি নিজেই বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন! সাইনির কথায়, ‘‘বাউন্ডারিটা মারার পরে আমিই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, দারুণ ব্যাটে-বলে হচ্ছে তো।’’ ব্যাট হাতে নিজের সাফল্যের জন্য সাপোর্ট স্টাফে থাকা থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ রঘুকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন সাইনি। বলছেন, ‘‘নেটে ব্যাট করার সময় রঘু আমাকে বল ছুড়ে, ছুড়ে অনেক সাহায্য করেছে। ও সব সময় আমাকে উৎসাহ দেয়। আমাকে বলে, তুমি ভাল ব্যাট করতে পারো। ম্যাচেও করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy