ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গলে সমস্যা মিটেও যেন মিটছে না! অব্যাহত চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া নিয়ে জটিলতা।
সোমবার বিকেলে ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে বৈঠকের পরে প্রাক্তন ফুটবলারদের বিশেষ কমিটির সদস্যরা লাল-হলুদ কর্তাদের লিখিত ভাবে জানান, এই মুহূর্তে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খেলা শুরু করা। তার পরে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের পরামর্শই দিয়েছেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখোপাধ্যায়, সৈয়দ রহিম নবি, মেহতাব হোসেনরা।
বৈঠকের পরে এগারো সদস্যের প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটির অন্যতম মুখপাত্র প্রশান্ত বললেন, “আগের দিন আলোচনাতেই মনোরঞ্জন বলেছিল, অবিলম্বে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত ক্লাব কর্তাদের। খেলাটা তো শুরু হোক। তার পরে আমরা সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করব। আমরাও একই কথা বলেছি ক্লাব কর্তাদের। এ বার ওঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।” সোমবারের এই বৈঠকে অবশ্য মনোরঞ্জন ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আসেননি ভাইচুং ভুটিয়াও।
চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের পক্ষে মত দিলেও প্রাক্তন ফুটবলাররা হতাশ লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের ব্যবহারে। তাঁরা বলেন, “আমরা সকলেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা যে ভাবে উপেক্ষা করেছেন তাতে আমরা শুধু হতাশ নই, অপমানিত বোধ করছি।” মুখ্যমন্ত্রীও তো দেখা করেননি? প্রশান্তর ব্যাখ্যা, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম আলোচনায় বসার অনুরোধ করে। ব্যস্ততার কারণে হয়তো চিঠির উত্তর দিতে পারেননি। ক্রীড়ামন্ত্রীও সময় পাননি আলোচনায় বসার।”
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলারেরা চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের পরামর্শ দিলেও সমস্যা মিটছে না কেন? ক্লাব কর্তাদের দাবি, “চূড়ান্ত চুক্তির সাতটি শর্ত পরিবর্তন করতে রাজি হয়েছিলেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। দিন দু’য়েক আগেই তাঁরা নতুন চুক্তিপত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শর্তগুলি পরিবর্তন করা হয়নি।” এর পরেই যোগ করেন, “আমরা অভিযোগ করছি না। মনে হচ্ছে, ওরা হয়তো নতুন চুক্তিপত্রে পরিবর্তিত শর্তগুলি রাখতে ভুলে গিয়েছেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই ব্যাপারে ওদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব ফের নতুন ভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করে পাঠাতে।”
লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে সহমত হওয়া সবগুলি শর্তই নতুন চুক্তিপত্রে রয়েছে। এবং তা বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করেই ওদের পাঠানো হয়েছে।” যোগ করেন, “লাল-হলুদ কর্তারা বুঝতে না পারলে জানান। আমাদের আইনজীবীরা ওঁদের চুক্তির ব্যাপারে সবকিছু বুঝিয়ে দেবেন। মনে হয় না, এটা খুব একটা বড় সমস্যা।” এর পরেই তাঁরা পরিষ্কার বলে দিলেন, “একমত হওয়া সাতটি শর্তই থাকবে চুক্তিতে। নতুন কোনও দাবি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে না।”
চুক্তি নিয়ে জটিলতায় শুধু লাল-হলুদ সমর্থকেরা নন, আপামর ফুটবলপ্রেমীও বিরক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy