প্রতিভা থাকলেও সুষ্ঠু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তার বিকাশ ঘটছে না। ইচ্ছা থাকলেও হারিয়ে যেতে বসেছেন ঘাটালের শময়িতা, সুদেষ্ণা, শিল্পা, তিহা, স্নেহারা। তাঁদের দাবি, ঘাটালে মহিলা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হোক। যেখানে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত অনুশীলন করার সুযোগ মিলবে।
সম্প্রতি সিএবি আয়োজিত আন্তঃ জেলা মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন এই শহরের শময়িতা চট্টোপাধ্যায়, শিল্পা জানা, সুদেষ্ণা মোদক, স্নেহা পণ্ডিত ও তিহা চৌধুরী। যাঁরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আন্তঃজেলা মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টানা তিন বছর ধরে খেলছেন। কিন্তু এ বার তাঁদের সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে জরুরি হল প্রশিক্ষক এবং নিয়মিত অনুশীলন। বেশ কয়েক বছর ধরেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ছেলেদের জন্য ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। ঘাটালে একাধিক মাঠ থাকলে স্রেফ উদ্যোগের অভাবেই চালু করা হয়নি মহিলাদের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ফলে ঘাটাল থেকে তাঁদের যেতে হচ্ছে মেদিনীপুর শহরে। শময়িতা, শিল্পারা তাই বলেন,‘‘আমরা সপ্তাহে দু’দিন ভোরের বাস ধরে মেদিনীপুর শহরে যাই। যেতে আসতেই ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এ ভাবে খুব বেশি দিন চালানো হয়তো সম্ভব হবে না।” আর তিহা, স্নেহা বলেন, “ইচ্ছে থাকলেও আমাদের অনেক বন্ধুই মেদিনীপুরে যেতে পারেননি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলে তাঁরাও সে সুযোগ পাবেন।” সুদেষ্ণার কথায়, “ঘাটালেও আমরা নিজেদের মতো করে প্র্যাকটিস করি। প্রশিক্ষক না থাকলে ভুল-ত্রুটি ধরবে কে? শুধু চর্চা করে তো ভাল ক্রিকেটার হওয়া যায় না!” শুধু ঘাটালই নয়, জেলা জুড়েই মেয়েদের ক্রিকেটের এই চিত্র।
যদিও শুধু এই জেলাতেই মহিলা ফুটবলারের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু উৎসাহ-উদ্যোগ-পরিকাঠামোর অভাবে জেলায় মহিলা ক্রিকেটারের সংখ্যাটা মাত্র ৩২। ইদানীং মহিলাদের মধ্যে ক্রিকেট খেলার ঝোঁক বাড়ছে। কিছু দিন আগে জাতীয় দলের সদস্য ঝুলন গোস্বামী মেদিনীপুরে শহরে এসেছিলেন। তিনি মহিলা ক্রিকেটার বাড়ানোর উপর জোরও দিয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্তার কথায়, “জেলার দু’জন মেয়ে রাজ্য স্তরেও খেলছেন। অথচ মহিলা ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে আমরাই উদ্যোগী হইনি। এমনকী সিএবির কাছে বিষয়টি নিয়ে দরবারও করিনি। কারণ জেলা ক্রীড়া সংস্থারই তো এটা দেখার কথা।” সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদক বিনয় দাস মাল বলেছেন, “ঘাটালে মেয়েদের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাব রয়েছে। তবে আমরা ইতিমধ্যেই সিএবি-র কাছে প্রশিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy