কেপ টাউনে টেস্ট ক্রিকেটের সেরা প্রদর্শনী দেখা গেল, ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম ম্যাচে। যেখানে ব্যাটসম্যানদের শাসনে রাখল বোলাররা। যে পিচে ম্যাচটা হল, তার সবচেয়ে বড় গুণ হল চতুর্থ দিনেও বোলাররা খেলার মধ্যে ছিল ভাল মতো।
নিউল্যান্ডসে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখানকার কন্ডিশন ক্রমশ ব্যাটসম্যানদের সহায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু এ বার দেখলাম তা অন্য রকম। তবে এ রকম উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও আমার হয়েছে। হেডিংলে ও ওয়ান্ডারার্সে। যদিও তখন ভারতই জিতেছিল, কিন্তু সেই বোলারদেরই দাপটে। সত্যি বলতে এই পিচ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের পক্ষে সত্যিই খুব কঠিন। বিশেষ করে যখন আমাদের ছেলেরা সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল ওখানে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ওদের অনেক সময় লেগেছে।
ভারতীয় দলের কম্বিনেশন নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে চারদিকে। অনেকে পাঁচ বোলারে মাঠে নামা নিয়ে আপত্তি তুলছেন। আমার কিন্তু এই নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। টেস্ট জিততে রান করার মতো উইকেট ফেলাটাও তো সমান গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের একটা সময়ে আমরা যে জেতার কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলাম, তা কিন্তু আমাদের বোলারদের ২০ উইকেট নেওয়ার জন্যই। আর এই ব্যাপারটাই পরের দুটো টেস্টে কাজে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টে ধবনের জায়গায় রাহুল, ফিরতে পারেন ইশান্ত-রাহানে
হার্দিক পাণ্ড্য ওর ব্যাটিং প্রতিভারও প্রমাণ দিল। যার জেরে ওকে আর দল থেকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। সেঞ্চুরিয়নেও ওকে দলে রাখা উচিত। সমস্যাটা আসলে ব্যাটিংয়ে। এই সমস্যার সমাধান করা উচিত এখনই। প্রথম এগারোর বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এটা হবেই। হারলে এমনই হয়। বিরাট কোহালির এ সব নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা না করাই ভাল। যদিও এটা ঠিকই যে উপমহাদেশের বাইরে অজিঙ্ক রাহানে ও লোকেশ রাহুলদের রেকর্ড ভাল। তবে প্রতি ম্যাচে দল বদলানো উচিত নয়। এই ব্যাটিং লাইন-আপের ওপরে যখন আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তখন এই লাইন-আপ নিয়েই পরের টেস্টে নামুক বিরাট। এ বছর দেশের বাইরে অনেক টেস্ট খেলতে হবে ভারতকে। তাই দলের ছেলেদের উপর আস্থা রাখাটা খুব জরুরি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও দুটো টেস্ট রয়েছে। আমার বিশ্বাস, দুটো টেস্টেরই ফয়সালা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy