স্ত্রী হাসিন জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল যাদবপুর থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শামির বিরুদ্ধে ৩৯৮এ (বধূ নির্যাতন), ইচ্ছাকৃত ভাবে মারধর (৩২৩), খুনের চেষ্টা (৩০৭), ধর্ষণ (৩৭৬), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন), বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা (৩২৮) এবং ৩৩৪ (অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারেই নিজের আইনজীবীকে নিয়ে সোজা লালবাজারে হাজির হয়েছিলেন হাসিন। সেখানে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে শামির একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড় গেমপ্ল্যান, আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, বললেন শামি
অভিযোগপত্রটি তিনি পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে লেখেন। তাঁর এই অভিযোগপত্রটি যাতে এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হয় সেই অনুরোধও জানান হাসিন। গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘শামির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’’
শামি এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার দাদোলির বাড়িতে। স্ত্রী লালবাজার থেকে বেরনোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই কয়েকটি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেন শামি। তিনি বলেন, ‘‘অনেক অভিযোগই ও করে চলেছে। সব কিছু প্রমাণ করার দায় ওর।’’
আরও পড়ুন: তারকা হলেই ছাড় মেলে না, বলছেন শামির শ্বশুর
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। যখন হাসিন ফেসবুকে নাগপুরের এক মহিলার ছবি পোস্ট করে তাঁর সঙ্গে কিছু আপত্তিজনক মোবাইল বার্তার আদানপ্রদান তুলে দিয়ে দাবি করেন যে, এই কথোপকথন তিনি শামির মোবাইল থেকে পেয়েছেন। ফেসবুকে হাসিন লেখেন, ‘অনেক সহ্য করেছি। আর নয়।’ বুধবার যদিও ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রীর অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পরে শামি সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে টুইট করেন বুধবার সকালেই। লেখেন, ‘যা চাউর করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এবং আমার ক্রিকেট জীবনকে নষ্ট করার চক্রান্ত।’ পরে একটি চ্যানেলকেও শামি বলেন, হাসিনের সঙ্গে কথা বলতে না পারলেও শ্বশুরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আর তিনি হাসিনের সঙ্গেই জীবন কাটাতে চান।
তবে হাসিনের দাবি, একাধিক মহিলার সঙ্গে শামির মোবাইলে আপত্তিজনক বার্তা আদানপ্রদানের প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। বলেছেন, ‘‘ও যখন যা করতে বলেছে, আমি করেছি। তার পরেও অত্যাচার থামেনি। ওকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার মতো সমস্ত প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে।’’