Advertisement
E-Paper

যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জোকারের, মন জিতলেন স্ত্রী

খুয়ান মার্তিন দেল পোত্রোকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন এবং ১৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পরে নোভাক জোকোভিচ বললেন, তিনি আজ যে জায়গায় উঠে এসেছেন তাঁর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৫
জুটি: ফাইনালের পরে জেলেনার সঙ্গে জোকোভিচ। ছবি: এএফপি

জুটি: ফাইনালের পরে জেলেনার সঙ্গে জোকোভিচ। ছবি: এএফপি

খুয়ান মার্তিন দেল পোত্রোকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন এবং ১৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পরে নোভাক জোকোভিচ বললেন, তিনি আজ যে জায়গায় উঠে এসেছেন তাঁর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের।

ফাইনালে দেল পোত্রোকে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৬-৩ হারানোর পরে সার্বিয়ান তারকা বিশ্ব র‌্যঙ্কিংয়েও উঠে এলেন তিন নম্বরে। অর্থাৎ রাফায়েল নাদাল এবং রজার ফেডেরারের পরেই। কনুইয়ের চোটে এক সময়ে বিশ্ব ক্রম পর্যায়ে ২২ নম্বরে পিছিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফের টেনিস বিশ্বের ‘বিগ থ্রি’র আসনে নিজেকে ফের প্রতিষ্ঠিত করার পরে জোকোভিচ বলেন, ‘‘১০ বছর আগেও আমি হয়তো নাদাল, ফেডেরারের প্রজন্মে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য খুশি ছিলাম না। তবে আজ কিন্তু আমি খুব খুশি। আমার মনে হয় নাদাল-ফেডেরারের সঙ্গে লড়াই, ওদের পর্যায়ে নিজের টেনিসকে তুলে আনার চেষ্টা করা, এ সবই আজ আমাকে এই জায়গায় তুলে এনেছে। ও জন্য ওদের কাছে
আমি কৃতজ্ঞ।’’

তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের দিক থেকেও জোকোভিচ স্পর্শ করলেন পিট সাম্প্রাসের ১৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। তাঁর সামনে এখন শুধু নাদাল (১৭) এবং ফেডেরার (২০)। সাম্প্রাসকে দেখেই জোকোভিচের টেনিস খেলা শুরু। ‘‘সাম্প্রাসের প্রথম বা দ্বিতীয় উইম্বলডন জেতার মুহূর্ত আমি টিভিতে দেখেছিলাম। সেটাই টেনিস নিয়ে প্রথম কিছু আমার টিভিতে দেখা। সেখান থেকে প্রেরণা পেয়েই আমি টেনিস খেলা শুরু করি। মনে মনে ভেবেছিলাম আমাকেও এক দিন এই জায়গায় উঠে আসতে হবে। আজ সেখানে আসতে পেরে মনে হচ্ছে স্বপ্ন সত্যি হল,’’
বলেন জোকোভিচ।

কনুইয়ের চোটের জন্য গত মরসুমে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খেলতে পারেননি জোকোভিচ। জানুয়ারিতে তাঁর কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়। তা ছাড়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমস্যায় থাকার কথা গত বছর স্বীকার করেছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসেরা। এই দুই সমস্যায় টানা তিনি টানা সাতটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে উঠতে পারেননি। ‘‘ফেব্রুয়ারিতে যদি আমায় কেউ বলত, যে এ মরসুমে তুমি উইম্বলডন, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আর সিনসিনাটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে, অবিশ্বাস্য মনে হত। তবে একই সঙ্গে আমার এই আশাটা ছিল, আবার টেনিসে সেই জায়গাটায় উঠে আসব। জীবন আমাকে দেখিয়েছে, ভাল জিনিস হতে সময় লাগে,’’ বলেন জোকোভিচ।

কী ভাবে সাফল্যের রাস্তায় ফিরে এলেন সেটাও জানিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। এ মরসুমে ফরাসি ওপেনে বিশ্বের ৭২ নম্বর মার্কো চেখিনাতোর কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পরে ফ্রান্সে পাঁচ দিন স্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। ‘‘আমরা যখন সেখানে বসলাম, সেই উচ্চতা থেকে বিশ্বকে নতুন চোখে দেখলাম। নতুন প্রেরণা পেলাম। টেনিস নিয়ে ভাবলাম। সব ইতিবাচক মনে হচ্ছিল। মনে হল আমার টেনিস যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘বাকিটা ইতিহাস। কোর্টে ফিরে এসে কুইন্সে ফাইনাল খেললাম, উইম্বলডন জিতলাম, সিনসিনাটিতে খেতাব পেলাম আর এখন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ফের ঘুরতে যাব পাহাড়ে।’’

জোকোভিচের এই প্রত্যাবর্তনে তাঁর স্ত্রী জেলেনাও কম কৃতিত্ব পাচ্ছেন না। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাঁর ফলোয়ারদের অনেকেই জোকোভিচের এই সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদানকে এগিয়ে রাখছেন। এক ফলোয়ার লিখেছেন, ‘‘জকোভিচ ভাগ্যবান তোমার মতো সব সময় পাশে দাঁড়ানোর মতো স্ত্রী পেয়েছেন।’’

Juan Martin Novak Djokovic নোভাক জোকোভিচ US Open Tennis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy