ফাইনালে ওঠার হাসি হাফিজের মুখে। ছবি: এপি
আরও একটি অঘটনের সাক্ষী থাকল ২০১৭ চ্যাম্পিয়্ন্স ট্রফি। টু্র্নামেন্টের সব থেকে ধারাবাহিক দল ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিল টিম পাকিস্তান।
তবে দিনের শুরুটা মোটেও ভাল ছিল না পাকিস্তানের জন্য। ম্যাচের শুরুতে কখনওই পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসাবে মানেননি কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ম্যাচের আগে চোটের কারণে মহম্মদ আমির সরে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়ে পাক-বাহিনী। আমিরের পরিবর্তে সেমিফাইনালে এ দিন পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি পেসার রুমান রাইসের।
বুধবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ খান। অধিনায়ক সরফরাজের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল তা ম্যাচের প্রথম থেকেই বোঝাতে শুরু করেন পাকিস্তানি বোলাররা। জুনেইদ খান থেকে হাসান আলি পাকিস্তানের আগুনে পেসের সামনে সেমিফাইনালে কার্যত দিশাহীন দেখায় প্রতিটি ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে। শুধু পেসাররাই নন, পাকিস্তানি স্পিনাররাও এ দিন বেশ ভাল বল করেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছরের ক্রিকেট জীবনে কোন পথে ৩০০
পাকিস্তানের হয়ে এ দিনের ম্যাচে ৩টি উইকেট নেন হাসান আলি, ২টি করে শিকার জুনাইদ খান ও রুমান রাইসের। ১টি মাত্র উইকেট পান ফায়িম আসরফের পরিবর্তে দলে আসা ১৮ বছরের লেগ স্পিনার শাদাব খান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৪৬ রান করেন জো রুট। রুট ছাড়াও রান পান জনি বেয়ারস্টো(৪৩), বেন স্টোকস(৩৪) এবং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান(৩৩)।
জবাবে ৮ উইকেট হাতে থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন সরফরাজ খান অ্যান্ড কোম্পানি। পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই পাক ওপেনার আজহার আলি এবং ফকার জামান। প্রথম উইকেটে ১১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুই পাক ব্যাটসম্যান। ৫৭ রান করে আউট হন বাঁহাতি ওপেনার ফকার জামান। এর কিছু পরেই ৭৬ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার আজহার আমি। তবে এই দুই উইকেট হারালেও ম্যাচে এর কোনও প্রভাব পরেনি। ফকার এবং আজহারের অসমাপ্ত কাজ দারুন ভাবে শেষ করেন বাবর আজম(৩৮) এবং মহম্মদ হাফিজ(৩১)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy