আজ ঘরের মাঠে চাপে গুয়ার্দিওলা

ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে অস্বস্তি কাটছে না পেপ গুয়ার্দিওলার। ‘‘ক’দিন ধরে বই পড়ার চেষ্টা করেও পারছি না। মন চলে যাচ্ছে লিভারপুল আর য়ুর্গেন ক্লপের দিকে,’’ বলেছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ম্যানেজার।

এমন কথা পেপ বলেছিলেন মাস খানেক আগে। তখন থেকেই তাঁর মাথায় ঘুরছে, একমাত্র লিভারপুলই তাঁদের টানা দ্বিতীয় বার প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পথে কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। লিগ টেবলে এখন শীর্ষে রয়েছে পেপের মাথাব্যথা যাদের নিয়ে, সেই লিভারপুল। পয়েন্ট ৫৪। সিটির পয়েন্ট ৪৭। তারা দু’নম্বরে থাকা টটেনহ্যামের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছনে। এমন একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে কাল, বৃহস্পতিবার ক্লপ বনাম গুয়ার্দিওলা দ্বৈরথ। এতিহাদে।

গুয়ার্দিওলা জানেন, খেতাবের দৌড়ে টিকে থাকতে জিততেই হবে তাঁদের। রবিবার সাউদাম্পটনকে ৩-১ হারিয়ে সিটির ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘লিভারপুল যে জায়গায় গিয়েছে, ওদের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে দ্বিতীয় বার খেতাব জয়ের আশা শেষ হয়ে যাবে।’’ ডিসেম্বর মাসটা বেশ খারাপ গিয়েছে ম্যান সিটির। প্রিমিয়ার লিগে অবিশ্বাস্য ভাবে তারা শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। এমন একটা অবস্থায় তাদের ‘দ্য রেডস’-এর বিরুদ্ধে নামতে হচ্ছে। যে লিভারপুল সম্পর্কে গুয়ার্দিওলার মুখে শুধুই সম্ভ্রম, ‘‘হতে পারে ওরাই এখন ইউরোপের সেরা দল। এবং দারুণ ফর্মেও আছে। তবে বৃহস্পতিবার মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করতে হবে। আর কিছু চাই না।’’

ক্লপ কী বলছেন? ‘‘গত বছর সিটির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে আমরা কি একবারও ভেবেছিলাম যে, ওরা টেবলে এক নম্বর আর আমরা চার নম্বরে? এক বারও না। আসলে সেটা গুরুত্বহীন আমার কাছে। এ বারও পয়েন্টের ফারাক যাই হোক, আসল কথা হচ্ছে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে,’’ বলেছেন ক্লপ।

বৃহস্পতিবার ইপিএলে: চেলসি-সাউদাম্পটন (রাত ১-১৫)। নিউক্যাসল-ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (রাত দেড়টা)। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-লিভারপুল (রাত দেড়টা)।