রেফারির সঙ্গে তর্ক করছেন মেহতাব।
রণক্ষেত্র ইস্টবেঙ্গল মাঠ। পিয়ারলেসের কাছে হারের পরে রেফারি দীপু রায়ের উপরে চড়াও হন একাধিক লাল-হলুদ ফুটবলার। মাঠের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। অশান্ত হয়ে ওঠেন সমর্থকরা। গ্যালারি থেকে উড়ে আসে জলের বোতল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দু’ দফা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হয়েছেন চার জন সমর্থক।আহতদের ক্লাবের অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চড়া মেজাজের খেলায় ৬৬ মিনিটে আনসুমানা ক্রোমা পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন পিয়ারলেসকে। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পিয়ারলেসের গোল আর শোধ করতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। ক্রোমার গোলের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
হাইমে স্যান্টোস কোলাডো-লালরিনডিকাদের আক্রমণ বারবার এসে থেমে যাচ্ছিল পিয়ারলেসের গোলকিপার অরূপ দেবনাথের হাতে। হতাশায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা মেজাজ হারাতে থাকেন। শূন্যে বল দখলের লড়াইতে আহত হন অরূপ দেবনাথ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ক্ষিপ্ত কোলাডো অরূপের হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করেন। কাশিম আইদারার সঙ্গেও লেগে যায় পিয়ারলেস ফুটবলারদের।
আরও পড়ুন: ক্রোমার গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের, লিগ শীর্ষে পিয়ারলেস
আরও পড়ুন: ভারত নয়, এশিয়া কাপে কলকাতার ঋষভ ফুল ফোটাচ্ছেন আমিরশাহির হয়ে
খেলার শেষ বাঁশির পরে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার লালরিনডিকা, মেহতাব সিংহ, গোলকিপার কোচ অভ্র মণ্ডল এবং ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরী রেফারির দিকে তেড়ে যান। রেফারিকে ধাক্কা মারতে দেখা যায় তাঁদের। পরে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তাকে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে দেখা যায় ম্যানেজার দেবরাজের সঙ্গে। পুলিশের হস্তক্ষেপে কোনওরকমে রেফারিকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোলাডোকে তখনও শান্ত করা যায়নি। মাঠের মাঝখানে পিয়ারলেস ফুটবলারদের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় এই স্পেনীয় ফুটবলারকে। মাঠের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সমর্থকদের মধ্যে। গ্যালারি থেকে মাঠে উড়ে আসে জলের বোতল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফেন্সিং টপকে গ্যালারিতে উঠে লাঠি, হেলমেট, ছাতা দিয়ে সমর্থকদের মারধর করে পুলিশ। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্বারস্থ হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ৷ এই ম্যাচ হারায় লিগের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। পিয়ারলেস চলে যায় প্রথম স্থানে। মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy