সদ্য চোট থেকে সেরে ওঠা তাঁরা দু’জনই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ছয় ম্যাচের সিরিজে ভারতীয় দলে আছেন। ফলে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের প্র্যাকটিস ম্যাচে দেখার প্রধান বিষয় ছিল, অজিঙ্ক রাহানে আর সুরেশ রায়না সত্যি সত্যি কতটা ম্যাচ ফিট! এবং ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম থেকে দিনের শেষে যে বার্তা বিরাট কোহালির টিমের কাছে পৌঁছল, তাতে ভারতের সীমিত ওভারের দলের নতুন অধিনায়কের খুশি হওয়ার কথা।
এ দিন ৫০ ওভারের ম্যাচে ইংল্যান্ডের (২৮২) বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’-র (৩৯.৪ ওভারে ২৮৩-৪) ছয় উইকেটে স্বচ্ছন্দ জয়ের দুই অন্যতম কারিগরের নাম রাহানে এবং রায়না।
অধিনায়ক রাহানের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ (১১৯) গড়ার পথে শেলডন জ্যাকসন-ও হাফসেঞ্চুরি (৫৯) করেন। সমসংখ্যক রান করতে ওয়ান ডাউন ঋষভ পন্থ (৫৯) মাত্র ৩৬ বল নিয়েছেন। সবই ঠিক। কিন্তু রাহানে (৮৩ বলে ৯১) ও রায়না (৩৪ বলে ৪৫) যতক্ষণ একসঙ্গে ক্রিজে ছিলেন, সেই সময়টার দিকে স্বাভবিক ভাবেই সবচেয়ে নজর ছিল ক্রিকেটমহলের।
ইংল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ওপেনার হেলস (৫১) ও তিন নম্বরে বেয়ারস্টোর (৬৪) সৌজন্যে ১৮ ওভারে ১১৬-২ পৌঁছলেও তাঁদের বিদায়ের পর আর সে ভাবে রান রেট বাড়াতে পারেনি। বাংলার অশোক দিন্দা (২-৫৫) বেয়ারস্টোর উইকেট ছাড়াও মইন আলিকে (১) তাড়াতাড়ি ফেরত পাঠালেও পুরো দশ ওভারের কোটা করার সুযোগ পাননি।
সেটা একমাত্র সুযোগ পেয়েছেন ধোনির রাজ্য ঝাড়খণ্ডের শাহবাজ নাদিম (২-৪১)। শেষ দু’মরসুমের রঞ্জিতে ১০৭ উইকেট তোলা বাঁ-হাতি স্পিনার নাদিম ক্রিজে জমে যাওয়া হেলসকে আউট করার পরের ওভারেই ফেরত পাঠান ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যানকে (০)।
যার পর ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সীমিত ওভারের দলে থাকা নাদিমের এই সিরিজেই জাতীয় দলের নীল জার্সিতে আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটিয়ে ফেলাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।