আইপিএলের মাঝ পথে প্রত্যেকটি দলই বিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে উঠেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শক্তি যে তাদের বোলিং তা প্রথম ম্যাচেই বুঝতে পেরেছিলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে ১২৫ রানে আটকে গিয়েছিল রাজস্থান। এ বার জয়পুরে ফিরতি ম্যাচে জিতে লিগ তালিকায় প্রথম চার দলের মধ্যে উঠে আসাই লক্ষ্য রাজস্থান রয়্যালসের।
রশিদ খান, সিদ্ধার্থ কল, সন্দীপ শর্মা, বাসিল থাম্পি ও শাকিব আল হাসানকে সামলাতে হবে রাহানেদের। এই হায়দরাবাদই দিন কয়েক আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ করে দিয়েছিল ৮৭ রানে। গত ম্যাচেই রশিদদের বিরুদ্ধে ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১৯ রানে অল আউট হয় পঞ্জাবও। সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে শাকিবদের বোলিং বিভাগই সমস্যায় ফেলতে পারে সঞ্জু স্যামসনদের। চোট থাকলেও সানরাইজার্সের ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়োতে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে ভুবনেশ্বর কুমারকে। তবে তিনি মাঠে নামতে পারবেন কি না, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
এ মরসুমে সাতটি ম্যাচ খেলেছে হায়দরাবাদ। তার মধ্যে পাঁচটি ম্যাচেই জিতেছেন উইলিয়ামসনরা। অন্য দিকে ছ’টি ম্যাচের মধ্যে তিনটি-তে জিতেছেন রাহানেরা। হায়দরাবাদকে হারাতে পারলে লিগ তালিকায় চার নম্বরে উঠবে রাজস্থান। সে ক্ষেত্রে বেন স্টোকস, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলাররা দু’দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন। একই সঙ্গে নজরে থাকবেন রাজস্থান রয়্যালসের নতুন আবিষ্কার জোফ্রা আর্চারও। ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ইয়র্কার করতে পারেন তিনি। তরুণ ক্যারিবিয়ান পেসারকে কী ভাবে সামলাবেন শিখর ধওয়নরা সেটাই দেখার।
বোলাররা সফল হলেও হায়দরাবাদকে ভাবাচ্ছে তাদের ব্যাটসম্যানেরা। ঋদ্ধিমান সাহা, মণীশ পাণ্ডের পাশাপাশি শিখর ধওয়নের ফর্মও দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে সানরাইজার্স শিবিরে। কেন উইলিয়ামসন ও ইউসুফ পাঠানের উপর নির্ভরতা তাই বাড়ছে।
প্রতি ম্যাচেই যে বোলারদের পক্ষে ম্যাচ জেতানো সম্ভব নয়, তা ভাল করেই জানেন উইলিয়ামসন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে হবে তাঁদের। মণীশ, ঋদ্ধিমানরা এ ম্যাচেই নিজেদের ছন্দ ফিরে পান কি না সেটাও বড় প্রশ্ন। অন্য দিকে হায়দরাবাদের হারের বদলা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy