Advertisement
E-Paper

একটা ছোট কালিস খুঁজতে হবে আমাদের

আক্ষেপ ঝরে পড়ছে আঠাশ ঘন্টা বাদেও তাঁর গলায়। যদিও তিনি বসে সিডনি থেকে অন্তত বারো ঘন্টা বিমান দূরত্বের কেপটাউনে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার, বিশ্বকাপে ক্রোনিয়ের টিমের ডেপুটি ক্রেগ ম্যাথিউজ এখন ও দেশের নামী বিশেষজ্ঞ। বুধবার রাতে ফোনে তিনি সাক্ষাৎকার দিলেন এবিপি-কে।আক্ষেপ ঝরে পড়ছে আঠাশ ঘন্টা বাদেও তাঁর গলায়। যদিও তিনি বসে সিডনি থেকে অন্তত বারো ঘন্টা বিমান দূরত্বের কেপটাউনে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার, বিশ্বকাপে ক্রোনিয়ের টিমের ডেপুটি ক্রেগ ম্যাথিউজ এখন ও দেশের নামী বিশেষজ্ঞ। বুধবার রাতে ফোনে তিনি সাক্ষাৎকার দিলেন এবিপি-কে।

গৌতম ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৫:২০

প্রশ্ন: আপনি দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের মাথা হলে এবি ডে’ভিলিয়ার্সকে দেশে ফেরা মাত্র কী বলতেন?

ম্যাথিউজ: বলতাম, খুব ভাল করেছ। যে ভাবে লড়েছ দেশ তোমাদের জন্য গর্বিত।

প্র: তাই কী? ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের তো মন্ত্রই হল না জিতলে কোনও কিছুর দাম নেই। উইনার টেকস ইট অল।

ম্যাথিউজ: উইনার হওয়ার তো সব রকম চেষ্টা টিম করেছে। লাস্ট দশ ওভার যা ম্যাচ হয়েছে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে ক’টা ম্যাচ এই রকম হয়েছে, হাতে গুনে বলা যায়। আমাদের দেশের মানুষ বড় স্ক্রিনে দাঁড়িয়ে মলে, রাস্তায় সর্বত্র দেখেছে। হয়নি কী করা যাবে। একটা ভেত্তোরি কোনও রকমে ইয়র্কারটা ব্যাটে লাগিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে গেল। ওটাই ভাইটাল হয়ে গেল।

প্র: কিন্তু সাউথ আফ্রিকা তো চারটে ক্যাচও ফেলেছে। তা হলে তাদের কী বলা হবে বীরোচিত লড়াই করা দল না সেই অভিব্যক্তিটা—চোকার্স?

ম্যাথিউজ: চোকার্স একেবারেই না। চোকার্স হচ্ছে ১৫ ওভারে ৭০ করতে হবে হাতে ছয় উইকেট তখন হেরে যাওয়া। এটা তো এমন ম্যাচ যে কোনও দিকে যেতে পারত। আর একবার ফাইনাল চলে গেলে তো ওয়ান-অফ ম্যাচ। যে কোনও দিকে যেতে পারত। কে বলতে পারে ডে’ভিলিয়ার্সের একটা দারুণ ইনিংস বিশ্বকাপ এনে দিত না। তখন আমরা এই ফোন ইন্টারভিউটাও করতাম না।

প্র: আপনি ছিয়ানব্বই বিশ্বকাপে ক্রোনিয়ের ডেপুটি ছিলেন, তার আগেরটাও খেলেছেন। সে বার ব্রায়ান লারা একা ঘুরিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তার আগের বার বৃষ্টির অদ্ভুত নিয়ম। এ বারও বৃষ্টি এসে ইনিংসটা ছোট করে দিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ অভিযান মানেই কি কোনও গেরো লেগে থাকবে বলে আপনার মনে হয়?

ম্যাথিউজ: গেরো-টেরো নেই। যে কোনও কিছুকেই আমার মতে বিজ্ঞান দিয়ে বোঝা উচিত। আবেগ ব্যবহার করে নয়। নিউজিল্যান্ডও তো সাতবার সেমিফাইনাল গিয়ে এই প্রথম ফাইনাল গেল। সেই ১৯৭৫ থেকে ওরা বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলে আটকে যাচ্ছিল। ক্রিকেটীয় স্কিল দিয়েই তো সেটা পেরোল। আমাদেরও নিউজিল্যান্ডকে দেখে শেখা উচিত। ওরা যদি চল্লিশ বছর ফাইনালে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারে আমরা তেইশ বছরেই ধৈর্যহারা হয়ে পড়ব কেন?

প্র: আপনার মতে হারের ব্যাখ্যা কী?

ম্যাথিউজ: মূল কারণ টেস্ট বোলারদের দিয়ে যে আর ওয়ান ডে- তে চলবে না এটা বুঝতে না পারা। স্টেইন আর ফিল্যান্ডারকে আর ওয়ান ডে-তে না টানাই ভাল। আর সাত নম্বরে আমাদের এক জন অলরাউন্ডার চাই যে দশ ওভার বলও করে দিতে পারবে, তখন টিমটা চাবুক হবে ছয় জন ব্যাটার, এক জন অলরাউন্ডার আর চার জন স্পেশ্যালিস্ট বোলার। আমরা মার খেলাম এই ফিফথ্ বোলার না থাকায়। কালিস এ বার না থাকাটা বড় ধাক্কা হয়ে গেল। আমাদের একটা ছোট কালিস খুঁজতে হবে।

প্র: আর সামনে তাকানোর মডেল কী হওয়া উচিত?

ম্যাথিউজ: মন খারাপ না করে এখনই বসে পড়া উচিত ইংল্যান্ড ২০১৯-এর জন্য। একটা বড় সুবিধে টিমের বেশির ভাগই তরুণ। কাজেই পরের বিশ্বকাপেও অনেকেই থাকবে।

প্র: মর্কেলের চোখের জলের তা হলে প্রতিকার আছে?

ম্যাথিউজ: নিশ্চয়ই আছে। বললাম তো একটু অপেক্ষা করতে হবে।

প্র: সিডনি সেমিফাইনালে কী হবে মনে হচ্ছে?

ম্যাথিউজ: অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোনও মাঠ হলে বলতাম অস্ট্রেলিয়া। সিডনি বলে বলছি ইন্ডিয়া। ওই সারফেসটা ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভাল যাবে।

craig matthews gautam bhattacharya world cup 2015 New Zealand south africa cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy