ম্যাচের সেরা র্যামোস।
লা লিগার একটা দল যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে যাওয়ার জন্য মির্যাকলের অপেক্ষায়, তখনই তাদের প্রবল প্রতিপক্ষ সান পাওলোর মাঠে মাপোলিকে উড়িয়ে দিয়ে পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। উপর্যুপরি সপ্তম বার। স্কোরবোর্ডের অবশ্য কোনও পরিবর্তন হল। সান্তিয়াগো বের্নাবউতে মারাদোনার প্রাক্তন ক্লাবকে ৩-১ ফলাফলে হারিয়েছিলেন রোনাল্ডোরা। মঙ্গলবার রাতেও ওই একই ফলাফলে নাপোলিকে ঘরের মাঠে চূর্ণ করল রিয়াল মাদ্রিদ। সব মিলিয়ে ৬-২ ফলাফলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছল ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দল।
অথচ এ দিন কিন্তু শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি রিয়ালের। ঘরের মাঠে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাবকে যে বেগ দেবেন তা আগেভাগেই জানিয়েছিলেন নাপোলি কোচ মরিজিও সারি। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলা স্বল্প পরিচিত মার্টেন্স-ইনসাইনদের রুখতে তখন কালঘাম ছুটছে পেপে-র্যামোসদের বিশ্বখ্যাত ডিফেন্সের। ২৪ মিনিটে ক্রমাগত আক্রমণের ফসল তোলে নাপোলি। জোড়ালো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্টেন্স। এর পরে মার্টেন্সের একটি শট পোস্টেও লাগে।
শেষ মুহূর্তে গোল পেয়ে উল্লসিত মোরাতা।
এক গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল স্বমূর্তি ধরে বিরতির পর। ম্যাচ শুরুর ছ’মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান র্যামোস। অ্যাওয়ে গোল পেয়ে তখনই শেষ আটের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করে রিয়াল। কিন্তু তাতে আক্রমণের ঝাঁঝ এতটুকুও কমেনি। ৫৭ মিনিটে ফের গোল। তবে এ বার ভাগ্যদেবীর কিছুটা সহায়তা পায় জিদানের দল। র্যামোসের শট মার্টেন্সের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে নাপোলির গোলে ঢুকে যায়। একস্ট্রা টাইমে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করে জয় নিশ্চিত করেন মোরাতা।
আরও পড়ুন: মেসিদের বিদ্রোহেই সরলেন এনরিকে
ম্যাচ হেরে সারি বলেন, “দ্বিতীয় গোলের পরই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এই রিয়াল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। এদের হারানো বেশ কঠিন।” তবে ম্যাচ জিতলেও রোনাল্ডেো-বেলদের মলিন পারফরম্যান্সে কিছুটা চাপে থাকবেন জিনেদিন জিদান।
ছবি: রয়টার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy