Advertisement
E-Paper

চাপমুক্ত থাকতে কোহালিদের ঠিকানা ‘রিল্যাক্স রুম’

ম্যাচ আর প্র্যাকটিসের বাইরে ফাঁকা সময়ে বিরাট কোহালিরা কী ভাবে রিল্যাক্স করছেন? শপিং, বেড়ানো। তাঁদের ক্যারিবিয়ান রুটিনে এগুলো তো রয়েছেই। আর একটা জিনিসও আছে। তাঁদের অনেকটা ফাঁকা সময় জুড়েই আছে ‘ফিফা’।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৬ ০৪:৫৪
দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে জামাইকার কিংসটনে পৌঁছে খোশ মেজাজে টিম ইন্ডিয়া।

দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে জামাইকার কিংসটনে পৌঁছে খোশ মেজাজে টিম ইন্ডিয়া।

ম্যাচ আর প্র্যাকটিসের বাইরে ফাঁকা সময়ে বিরাট কোহালিরা কী ভাবে রিল্যাক্স করছেন?

শপিং, বেড়ানো।

তাঁদের ক্যারিবিয়ান রুটিনে এগুলো তো রয়েছেই। আর একটা জিনিসও আছে। তাঁদের অনেকটা ফাঁকা সময় জুড়েই আছে ‘ফিফা’। প্লে স্টেশনে চুটিয়ে ফুটবলও খেলছেন তাঁরা। আর ক্যারিবিয়ান দ্বীপে দলের বঙ্গসন্তানের ঠিকানা হয়ে উঠেছে টিম ইন্ডিয়ার ‘রিল্যাক্স রুম’। ঋদ্ধিমান সাহার ঘর।

ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি নিজেই বলছেন, ‘‘এটাই আমাদের ‘রিল্যাক্স রুম’। এখানে আমরা আসি প্লে স্টেশনে ফুটবল খেলতে। দারুন লাগে। রিল্যাক্স করার আদর্শ উপায়। আর সাহা-র ঘরই আমাদের এই বিনোদনের আসল জায়গা।’’ টুইটারে শিখর ধবন যে ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতেই কোহালিকে এই কথাগুলো বলতে শোনা গিয়েছে।

‘আমরা’ বলতে নিজে ছাড়াও যাঁদের বুঝিয়েছেন কোহালি, তাঁরা হলেন চেতেশ্বর পূজারা, ধবন, ঋদ্ধিমান, ভুবনেশ্বর কুমার ও শার্দুল ঠাকুর। এঁরাই হলেন এই ‘ফিফা’-র পোকা। নিজেদের মধ্যে আবার একে অপরের ফেভারিট পার্টনারও ঠিক করে ফেলেছেন শিখররা। ভিডিওতে ভুবিই শোনালেন সেই গল্প। বললেন, ‘‘পূজারা আর শেখি-র (ধবন) টিমই বেশি জেতে আমাদের মধ্যে। ওরা দু’জনেই দুর্দান্ত খেলে।’’ যা শুনে শিখর ফোড়ন কাটলেন, ‘‘পূজারা কিন্তু তাকেই পার্টনার হিসেবে বেছে নেয়, যে সব সময় জেতে। মানে কার কথা বলছি বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই।’’

এই খেলায় ভুবনেশ্বরের পার্টনার ঋদ্ধিমান। এবং তাঁকে পার্টনার হিসেবে পেয়ে ভুবি বেশ খুশিও। বলছেন, ‘‘আমার পার্টনার সাহা। আমরাও কিন্তু খারাপ খেলি না।’’

মঙ্গলবার দু’ঘন্টার কিছু বেশি বিমানযাত্রার পর অ্যান্টিগা থেকে কিংসটনে পৌঁছে অবশ্য ‘রিল্যাক্স’ করার বেশি সময় পেলেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বুধবার সকাল সকাল নেটে নেমে পড়লেন। শনিবার থেকে এখানেই দ্বিতীয় টেস্ট। যাতে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স। জামাইকার এক সংবাদপত্রে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘ভারত খুব ভাল দল, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমাদের ছেলেদেরও উড়িয়ে দেবেন না। প্রথম টেস্ট থেকে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে পরের টেস্টে আমাদেরও লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। আশা করি কিংসটনে অন্য খেলা দেখবেন আমাদের।’’ ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে অবশ্য এর কোনও পাল্টা জবাব দেননি। তিনি দলের ছেলেদের নিয়ে নেটেই ব্যস্ত ছিলেন এ দিন। বোধহয় মাঠেই এর জবাব দিতে চান তিনি ও তাঁর দল।

কোহালি তো আছেনই। ধবন ও পূজারা যদি ‘ফিফা’-র ফর্মে চলে আসে, তা হলে সিমন্সকে দল নিয়ে ফের মাথা নিচু করেই হয়তো মাঠ ছাড়তে হবে এখানেও।

শিখর ধবন, লোকেশ রাহুল। ছবি: টুইটার

কোপে নির্বাচকরাও: বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশে শুধু যে বিসিসিআই-সহ বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের ঘাড়ে কোপ পড়বে, তা নয়, কোপ পড়তে চলেছে জাতীয় নির্বাচকদের উপরও। সদ্য কমিটিতে আসা গগন খোদা-র উপর খাঁড়া নেমে আসবে যেমন, তেমনই এমএসকে প্রসাদ খুব অল্পের জন্য বেঁচে যেতে পারেন।

লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ বার থেকে অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নেওয়া প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটাররা জাতীয় সিনিয়র নির্বাচক হতে পারবেন। এই নিয়ম অনুযায়ী খোদার জাতীয় নির্বাচক হওয়ার যোগ্যতা নেই। কারণ, তিনি ভারতের হয়ে দু’টি ওয়ান ডে খেললেও একটাও টেস্ট খেলেননি। প্রাক্তন উইকেটকিপার এমএসকে প্রসাদ তাও ছ’টা টেস্ট খেলেছেন। তাই তিনি এই কমিটিতে থাকতে পারলেও খোদা থাকবেন না। পুরনো নিয়মে দু’জনেরই ২০১৯ পর্যন্ত কমিটিতে থাকার কথা। যদিও বোর্ড সূত্র জানাচ্ছে, আপাতত তাঁকে কমিটিতে রাখা হ বে। এবং সে জন্য তিনি তাঁর পারিশ্রমিকও পাবেন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র সংশোধনের পর বার্ষিক সভা হওয়া পর্যন্ত তিনি থাকবেন। বার্ষিক সভাতেই নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন হওয়ার কথা।

Virat Kohli
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy