.
তাঁর নামের পাশে ‘মিডফিল্ডার’ তকমা জুড়ে গিয়েছে। এক সময়ের সোনার ফরোয়ার্ড এখন বাকিদের গোল সাজিয়ে দেন। কিন্তু একজন সেন্টার ফরোয়ার্ডের গর্ব তো গোল। কত দিন একজন স্ট্রাইকার গোলের পাস বাড়িয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন।
ওয়েন রুনিরও যেন অবস্থা সে রকমই। ডেভিড মোয়েস থেকে লুই ফান গল, প্রতিটা কোচই রুনিকে ব্যবহার করেছেন মাঝমাঠে। দলের স্বার্থে খেললেও কোথাও যেন একজন স্ট্রাইকারের গরিমাকে সেটা আঘাত করত। অন্যদের গোল সেলিব্রেশন দূর থেকেই দেখতে হত তাঁকে।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ জোসে মোরিনহো অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, রুনি তাঁর কাছে কোনও মিডফিল্ডার নন। বরং গোলক্ষুধার্ত একজন স্ট্রাইকার। নির্যাসে, স্ট্রাইকার রুনিকে পুনর্জন্ম দিয়েছেন ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’। নিজের স্পেশ্যাল পজিশনে ফিরে ‘হোয়াইট পেলে’ও স্বস্তিতে। যিনি সরাসরি বলে দিচ্ছেন, ‘‘আবার মনে হচ্ছে সেই পুরনো ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। মাঝমাঠে খেলতে আমার অসুবিধা নেই। কিন্তু গত দশ বছর ধরে মোরিনহো আমাকে শুধু গোল করতে দেখে অভ্যস্ত।’’
ফান গলের অধীনে নিজের সেরা ফর্ম ফিরে না পেলেও মোরিনহোর কোচিংয়ে নিজের সেরা ফর্ম ফিরে পেতে চান ইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার। ক’দিন আগেই গালাতাসারের বিরুদ্ধে প্রাক্-মরসুম ম্যাচে গোল করেছেন রুনি। পর্তুগিজ কোচের ম্যান ম্যানেজমেন্টে এখন থেকেই খুশি রুনি। বলছেন, ‘‘মোরিনহোর সম্পর্কে শুনেছিলাম যে, ও নাকি দারুণ ম্যানেজার। এখন চোখের সামনে সেটা দেখতে পাচ্ছি। প্রতিটা প্লেয়ারের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে মোরিনহো। এতে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ে।’’
ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই রুনির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন মোরিনহো। রুনিকে কোন পজিশনে খেলানো হবে, তাঁকে নিয়ে কী প্ল্যান আছে, সব কিছুই বলেন দলের নতুন কোচ। রুনি বলছেন, ‘‘মোরিনহোর কথা হয়েছে কিছু দিন আগে। অনেক স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের খেলাতে চায় ও। অনেক পজিশন পাল্টানো, যাতে গোলের সুযোগ বাড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy