Advertisement
E-Paper

নাক ফাটলেও হার মানেননি সচিন, এখনও মুগ্ধ ওয়াকার

সেই ঐতিহাসিক প্রথম সিরিজের দিকে ফিরে তাকিয়ে ওয়াকার বলেছেন, স্কুল ক্রিকেটে যে সব কীর্তি করে এসেছিলেন সচিন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য!

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০৬:৪৩
চিরস্মরণীয়: অভিষেকের সেই বিস্ময় বালক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভয় জয় করে দেখিয়েছিলেন দাপট। ফাইল চিত্র

চিরস্মরণীয়: অভিষেকের সেই বিস্ময় বালক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভয় জয় করে দেখিয়েছিলেন দাপট। ফাইল চিত্র

একই সঙ্গে অভিষেক হয়েছিল তাঁদের দু’জনের। কিন্তু বিস্ময় বালক সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে শোনা তথ্য বিশ্বাসই করতে পারেননি ওয়াকার ইউনিস।

সেই ঐতিহাসিক প্রথম সিরিজের দিকে ফিরে তাকিয়ে ওয়াকার বলেছেন, স্কুল ক্রিকেটে যে সব কীর্তি করে এসেছিলেন সচিন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য! পুরো পাকিস্তান দলের যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল, এমন সব কীর্তি এত ছোট বয়সে করে দেখানো সম্ভব। প্রথম সিরিজেই ওয়াকার ইউনিসের বাউন্সার নাকে আছড়ে পড়ে সচিনের। আঘাত পাওয়ার পরে রান করার জন্য আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠেন সেই বিস্ময় বালক। সেই দৃশ্য দেখেও বিস্মিত হন ওয়াকার।

১৯৮৯ সালে পাক সফরের করাচি টেস্টে অভিষেক হয় সচিনের। একই ম্যাচে বিপক্ষ শিবিরে অভিষেক হয় ওয়াকারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ইনিংসে ওয়াকারেরই শিকার হন সচিন। ১৫ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে ওয়াকার বলেন, ‘‘জীবনের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসেই চার উইকেট পেয়েছিলাম। সচিনের উইকেটও আমিই নিয়েছিলাম। এটা ঠিক যে, প্রথম বার দেখে বুঝিনি, পরবর্তীকালে এত বড় ব্যাটসম্যানে পরিণত হবে। কিন্তু প্রথম টেস্টে ওর কিছু শট দেখেই বোঝা গিয়েছিল, দুরন্ত এক প্রতিভাকে দেখছি।’’

প্রথম টেস্টে তরুণ সচিন তেন্ডুলকর ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় টেস্টে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি হারিয়ে যেতে আসেননি। ওয়াকারের কথায়, ‘‘দ্বিতীয় টেস্ট ছিল সিয়ালকোটে। প্রথম ম্যাচে সচিনকে দ্রুত আউট করেছিলাম। তাই আত্মবিশ্বাস ছিল, এই ম্যাচেও ভাল কিছু করার। একেবারে সবুজ উইকেট তৈরি করা হয়েছিল বিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য।’’ যোগ করেন, ‘‘সিয়ালকোটেই আমার ডেলিভারি সচিনের নাকে আছড়ে পড়ে। রক্ত পড়তে শুরু করে। স্পষ্ট মনে আছে, ওর নাকে লাগার পরে ঠিক পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় নিয়েছিল স্টান্সে ফেরার।’’ যোগ করেন, ‘‘নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে নভজ্যোত সিংহ সিধুর সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা করার পরেই ফিরে যায় ক্রিজে। নাকে লাগার পরে রান করার জন্য আরও যেন মরিয়া দেখাচ্ছিল ওকে। সেই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিয়েছিল ও কত বড় মাপের ক্রিকেটার।’’

১৬ বছরের সচিন পাক সফরে যাওয়ার পর থেকেই ওয়াকারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। স্কুল ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে রেকর্ড তখন সকলের মুখে মুখে ঘুরছে। তখনকার দিনে স্কুল ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করাই ছিল বড় বিষয়। ওয়াকারদের মনে প্রশ্ন জাগে, কে এই ছেলে, যে স্কুল ক্রিকেটেও ট্রিপল সেঞ্চুরি করে?

প্রাক্তন পাক পেসার বলছেন, ‘‘ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে একটি ম্যাচের সময়েই সচিনের বিষয়ে শুনি। ওরা বলাবলি করেছিল, একজন আছে যে স্কুল ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে। আমি তখন ভাবি, স্কুল ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা আছে? সেঞ্চুরি করাই তো তখন বড় ব্যাপার। সেই সচিন ধীরে ধীরে প্রমাণ করে দিয়েছে কত বড় মাপের ক্রিকেটার।’’

Sachin Tendulkar David Walker Cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy