মিশন টোকিও। শুরু হয়ে গিয়েছে সাক্ষীর প্রস্তুতি।
ভারতের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা কুস্তিগির হিসেবে অলিম্পিক্স পদক জিতেছেন তিনি। ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর নামটা পাকাপাকি ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাক্ষী মালিক এতে মোটেও সন্তুষ্ট নন।
একটা অলিম্পিক্স পদকে থেমে থাকতে চান না হরিয়ানার কুস্তিগির। ২০২০ টোকিও গেমসেও পদক চান তিনি। একটা নয়, একজোড়া অলিম্পিক্স পদক চান তিনি। সুশীল কুমারের ঐতিহাসিক নজর স্পর্শ করতে চান তিনি।
‘‘২০২০ টোকিওয় পদক জিতে সুশীল কুমারকে ছোঁয়াটাই আমার লক্ষ্য। যে লক্ষ্য পুরণ করতে আমি প্রাণপণ ফোকাস করছি। সুশীলজির মতো আমিও জোড়া অলিম্পিক্স পদক জিততে চাই,’’ বলেছেন সাক্ষী। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘অলিম্পিক্স প্রস্তুতি চার বছর আগেই শুরু করে দিতে হয়। আমিও সেই মতো আমার ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছি।’’
তার আগে অদূর ভবিষ্যতে অবশ্য সাক্ষী পাখির চোখ করছেন ২০১৭-র বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপকে। ‘‘চলতি বছরে আমার লক্ষ্য হল বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ভাল করা। মে মাসে নয়াদিল্লিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামার ইচ্ছে আছে। পরের বছর কমনওয়েলথ আর এশিয়ান গেমসেও সোনা জেতার লক্ষ্যে নামব,’’ বলেছেন আত্মবিশ্বাসী তরুণী।
চব্বিশ বছরের সাক্ষীকে গত বছর রিওর আগে দেশের বেশির ভাগ মানুষ চিনত না। সেখান থেকে এখন তিনি ভারতীয় খেলাধুলোর অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। সাক্ষী বলছেন, ‘‘আমার জীবনে ভাল ভাল প্রচুর বদল হয়েছে। এখন অনেক বেশি লোকে আমাকে চিনতে পারে। দেখে ভাল লাগে। এতে আরও ভাল করার অনুপ্রেরণা পাই।’’ পাশাপাশি অবশ্য তাঁর উপর চাপটাও বেড়ে গিয়েছে। ‘‘হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে আমার উপর প্রত্যাশার চাপ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। যত বার ম্যাটে নামি, প্রত্যাশার বিরাট চাপটা টের পাই। কিন্তু সেটা আমাকে আরও বেশি খাটতেও মোটিভেট করে। নিজেকে আরও উন্নত করতে তাতায়। আমি চেষ্টা করছি নিজের ভুলত্রুটি সব ঠিক করে আরও ভাল ট্রেন করতে,’’ বলেছেন সাক্ষী। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘এটা আমাকে আরও ভাল ভাবে ট্রেন করতে সাহায্য করে। এখন তাই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ম্যাটে নামতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy