আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে শীর্ষে রয়েছে তাঁর দল। এই অবস্থায় যতটা সম্ভব এএফসি কাপকে ততটাই গুরুত্ব দিতে চাইছেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন।
এশিয়ার ক্লাব টুর্নামেন্টের ‘আপার টিয়ার’ অর্থাৎ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরপরই বুধবার গুয়াহাটিতে ‘দ্বিতীয় টায়ার’ এএফসি কাপে তাদের প্রথম ম্যাচে নামছে বাগান। প্রতিপক্ষ মলদ্বীপের মাজিয়া এস এন্ড আরসি। আই লিগে এক নম্বরে থেকে এএফসি-তে হঠাৎ-ই ফোকাস ঘোরানো কঠিন। তা সত্ত্বেও ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে স়ঞ্জয় বলে দিলেন, ‘‘আমার কাছে গুরুত্ব রয়েছে এএফসি কাপেরও।’’
মুখে এ কথা বললেও সনি নর্ডিদের এই ম্যাচে খেলাবেন কি না, তা এখনও ঠিক করেননি বাগান কোচ। বরং সোমবার অনুশীলনের পরে বললেন, ‘‘আগে মলদ্বীপের ক্লাব সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানি, তার পর স্ট্র্যাটেজি ঠিক করব। আমার কোন কোন ছেলেকে ওই ম্যাচে বিশ্রাম দেব, সেটাও ঠিক করে নেব তখন। সনি চোট নিয়ে খেলছে ঠিকই। এএফসির ম্যাচে ওকে বিশ্রাম দেব কি না ঠিক করিনি। তবে ওই ম্যাচে আমাদের বেঞ্চের দু’-তিনজনকে দেখে নেওয়ার ইচ্ছে আছে।’’
মঙ্গলবার সকালের বিমানে গুয়াহাটি যাচ্ছেন লুসিয়ানো-কিংশুকরা। অধিনায়ক কাতসুমি অবশ্য সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবারই চলে গিয়েছেন সেখানে। আই লিগে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত মোহনবাগান। এএফসির ম্যাচে সেই ভাল ধারাটা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেটাও ভাবাচ্ছে বাগান কোচকে। বলছিলেন, ‘‘আই লিগে না হারার একটা চমৎতার ছন্দে রয়েছে আমার ছেলেরা। সেটা নষ্ট হোক চাইব না। তাই এএফসির ম্যাচেও সেটা ধরে রাখতে ছেলেদের মোটিভেট করব। একটা ম্যাচে গা ছাড়া ভাব মানে আই লিগেও তার প্রভাব পড়তে পারে।’’
এ দিকে, কোপা আমেরিকার জন্য ৩০ মার্চ পানামার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে হাইতির। ওই ম্যাচে জাতীয় দলে সনি ডাক পেলে তাঁর পক্ষে ২ এপ্রিল আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে খেলা কঠিন।