চুপ স্টোকস চুপ। ছবি: রয়টার্স।
মোহালি টেস্টের ভাগ্য মনে হচ্ছে দুটো জিনিস ঠিক করে দিতে চলেছে। এক, ইংল্যান্ডের বোলিং পারফরম্যান্স আর দুই, ভারতীয় লোয়ার অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিং। টস জিতেও প্রথম দিন প্রথম সেশনের মধ্যেই ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। কারণ আর কিছুই নয়। ওদের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। একটা ভাল ব্যাটিং উইকেটে হাসিব হামিদ ছাড়া কারও শট বাছাই ঠিক ছিল না।
তা ছাড়া টপ অর্ডারে ইংল্যান্ডের আরও একটা অসুবিধে আছে। অফস্পিনারের সামনে ওদের অনেক জন বাঁ-হাতি পড়ে যাচ্ছে। ভারতের এই দু’জন অফস্পিনার খেলানোর ভাল ট্যাকটিক্স বিপক্ষের রানের গতি আটকে দিচ্ছে। টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চের আগে চারটে উইকেট পড়ে গেলে টিম ব্যাকফুটে চলে যেতে বাধ্য। ইংল্যান্ডের ঠিক সেটাই হয়েছে।
সেখান থেকে ম্যাচে ফেরাটা কুক আর ওর টিমের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে। এখন ওদের সামনে লড়াইটা হল টেস্ট ম্যাচটা চার দিনের মধ্যে না হারা। যেটা আমার অবশ্যম্ভাবী মনে হচ্ছে। যদি না ওদের কেউ অলৌকিক একটা কিছু করে টিমকে টেনে তোলে।
ভারত যখন ২০৪-৬ হয়ে গিয়েছিল, যখন বিরাট কোহালিও প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিল, তখন ইংল্যান্ডের সামনে প্রত্যাবর্তনের একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু সেখান থেকে অশ্বিন, জাডেজা আর জয়ন্ত যাদবের দুর্দান্ত ব্যাটিং ইংল্যান্ডের গলায় ফাঁসটা আরও শক্ত করে দিল।
ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিংয়ে সেই ঝাঁঝটা এ বার দেখছি না। এ রকম পরিস্থিতিতে মইন আলিকে যে ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। এ ধরনের পিচে মইনকে দিয়ে কেন এত কম বল করানো হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাটা একমাত্র কুক দিতে পারবে। ভারতের লোয়ার অর্ডারকে আউট করতে রীতিমতো মুশকিলে পড়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটা যেমন ওদের ব্যর্থতা, তেমনই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের টেকনিক্যাল কাঠিন্যের সফল প্রয়োগও।
ইংরেজ টিমটাকে দেখে মনে হচ্ছে, নিজেদের ভাগ্য ওরা মেনে নিয়েছে। যার থেকে প্রমাণ হয়ে যায় যে, ভারতের ব্যাটিং ওদের শ্বাসরোধ করে দিয়েছে। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে আসার সঙ্গে সঙ্গে বোলিং পারফরম্যান্সের তফাতটা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্পিনাররা দারুণ বল ঘোরাচ্ছিল। ফাস্ট বোলারদের ডেলিভারি নিমেষে ছুটে যাচ্ছিল। আর ইংল্যান্ড যে ভাবে ব্যাট করছে, মনে হচ্ছে না মঙ্গলবারও ওদের জীবনে কোনও স্বস্তি আসবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy