সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের প্যানেল তাদের কাজ শুরু করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিল্লি ও পুণের দফতর বন্ধ করে দিয়ে।
দুই বাতিল শীর্ষকর্তা অনুরাগ ঠাকুর ও অজয় শিরকেকে সোমবার এই নির্দেশ দিল প্রশাসকদের প্যানেল। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দুই দফতরের কর্মীদেরও। যাঁদের নিয়োগ করেছিলেন অনুরাগ ও শিরকে।
এ দিন প্রশাসক প্যানেলের অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি বলেন, ‘‘বোর্ডে যখন প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি নেই, তখন তাঁদের অফিস থাকারও কোনও মানে হয় না। সেই জন্যই এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানকার কর্মীদেরও কোনও কাজ নেই এখন। তাই তাদেরও সরে যেতে বলা হয়েছে।’’
এই কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজারও। যাঁর বিরুদ্ধে অনুরাগের কাছে টিমের ড্রেসিংরুমের খবর ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ তোলেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। মিডিয়া ম্যানেজার ছিলেন দিল্লি অফিসের কর্মী। তাঁকে মুম্বইয়ের দফতরে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি তাতে অস্বীকার করে ইস্তফা দেন।
সুপ্রিম কোর্ট চার সদস্যের প্যানেলকে বোর্ডের আমূল প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে এটাই তাদের প্রথম পদক্ষেপ। এর পর তারা বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার গঠনতন্ত্রে সংস্কার কী ভাবে করা যাবে, তা খতিয়ে দেখবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
দেশে এমন দাপটে কাজ শুরু করলেও আইসিসি-র বিরুদ্ধে যুদ্ধে হয়তো মাথানত করেই থাকতে হবে বোর্ডকে। কারণ, আইসিসি-র নতুন আয়বন্টনের হিসেব অনুযায়ী আইসিসি থেকে বিসিসিআই-এর অ্যাকাউন্টে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৯ কোটি ডলারের বেশি জমা পড়বে না। আগের ‘বিগ থ্রি’ মডেলে যে হিসাব ছিল প্রায় ৪৫ কোটি ডলার।
যদিও শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করছে তাদের অন্তত ৪০ কোটি ডলার পাওয়া উচিত আইসিসি-র থেকে। কিন্তু এপ্রিলে যখন এই দাবি তারা পেশ করবে আইসিসি-র বোর্ড বৈঠকে, তখন তা ধোপে টিকবে বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, দিন দু’য়েক আগের বৈঠকে ভারত ভোটাভুটিতে যে ভাবে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে, তাতে পরের সভাতেও তাদের পাশে বেশিরভাগ সদস্য দেশ থাকবে, এমন সম্ভাবানা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy