ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি পড়েছিল সেই নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি, ১৯৯৬ সালে। এমনটাই জানাচ্ছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। এখানেই শেষ নয়, শোয়েব আখতার আরও বলছেন, পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমের আবহটাও ‘অদ্ভুত’ ছিল সে সময়।
পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘‘ওই সময় পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা আমার কাছে ভীষণ অদ্ভুত লাগত। বিশ্বাস করুন, ওর চেয়ে খারাপ ড্রেসিংরুম আর হতে পারত না।’’ শোয়েব আরও বলে দেন, ‘‘ক্রিকেটের বাইরে তখন অন্য অনেক কিছু চলত। যার ফলে ক্রিকেটে মনঃসংযোগ রাখাটা কঠিন হয়ে যেত। খুব খারাপ অবস্থা ছিল সে সময়।’’
ঠিক কী অবস্থা ছিল তখন? ম্যাচ গড়াপেটার অবস্থাটাও কী রকম ছিল? শোয়েব ভেঙে কিছু না বললেও দু’টো কথা জানাচ্ছেন। এক, তিনি নিজে ম্যাচ গড়াপেটা থেকে সব সময় দূরে থাকতেন। দুই, তিনি বাকিদেরও সব সময় বলে এসেছেন ম্যাচ গড়াপেটা থেকে দূরে থাকতে। যেমন মহম্মদ আমের।
আমেরকে নাকি সেই ২০১০ সালে শোয়েব সাবধান করে দিয়েছিলেন, সন্দেহজনক লোকজনের থেকে সব সময় দূরে থাকতে। এই সব লোককে এড়িয়ে চলতে। যদিও বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সেই পরামর্শে বিশেষ কাজ হয়নি। গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েই পড়েন এই পাক পেসার।
এ তো গেল ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে শোয়েবের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য। প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার আরও দাবি করেছেন, শাহিদ আফ্রিদি-জাভেদ মিঁয়াদাদ ঝামেলা মিটে যাওয়ার পিছনেও নাকি তিনি আছেন। শোয়েব বলেছেন, ‘‘আমি আফ্রিদি আর জাভেদ ভাই, দু’জনের সঙ্গেই কথা বলি। দু’জনকেই বলি, ব্যাপারটা নিয়ে আদালতে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বাইরে মিটিয়ে ফেলাই ভাল। আদালত পর্যন্ত গড়ালে অনেক নামই ভেসে উঠতে পারে।’’
আফ্রিদি-মিয়াঁদাদের ঝামেলার পিছনেও ভেসে উঠেছিল সেই ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া। মিয়াঁদাদ অভিযোগ করেছিলেন, টাকা নিয়ে ম্যাচ গড়াপেটা করেছিলেন আফ্রিদি। এর পরেই আফ্রিদি আদালতে যাওয়ার হুমকি দেন। শোয়েব বলছেন, ‘‘আমি আফ্রিদিকে বলি, আইনি নোটিশ পাঠানোর কোনও দরকার নেই। জাভেদ ভাইকেও বোঝাই, সব সময় মাথা গরম করতে নেই। আর সবার সামনে কী বলা হচ্ছে, সেটা একটু খেয়াল রাখতে।’’