Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
ওয়াহ রাজ: মেয়েদের ক্রিকেটের এভারেস্টে

মিতালির রেকর্ডের দিনে হার ভারতের

বুধবারের শুরুটা হয়েছিল মিতালির ব্যাটে স্বপ্ন দেখা থেকে। যখন মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বাধিক রানসংগ্রাহকের তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসেন মিতালি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩১
Share: Save:

একই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের শৃঙ্গ ছোঁয়ার দিন, আবার হতাশায় ডুবে যাওয়ার দিন। যে দিন ব্রিস্টলে বিশ্বরেকর্ড এল মিতালি রাজের ব্যাট থেকে। আবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠা কঠিন হয়ে গেল ভারতের কাছে।

বুধবারের শুরুটা হয়েছিল মিতালির ব্যাটে স্বপ্ন দেখা থেকে। যখন মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বাধিক রানসংগ্রাহকের তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসেন মিতালি। যখন শার্লট এডওয়ার্ডসের ৫৯৯২ রান টপকে যান তিনি। সেখানেই শেষ নয়, মিতালি শেষ পর্যন্ত থামলেন ছ’হাজার রানের গণ্ডি টপকে। কিন্তু ভারতের ২২৬ রানের স্কোর মাত্র দু’উইকেট হারিয়ে টপকে গেল অস্ট্রেলিয়া।

মিতালির বিশ্বরেকর্ডের পরেই ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকাদের কাছ থেকে ভেসে আসে একের পর এক অভিনন্দনবার্তা। যে তালিকায় ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি থেকে শুরু করে ছেলেদের ওয়ান ডে-তে সর্বাধিক রানের মালিক সচিন তেন্ডুলকর। অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে ছুটি কাটানোর ফাঁকে বিরাটের টুইট, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে একটা অসাধারণ মুহুর্ত। মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করল মিতালি রাজ। চ্যাম্পিয়ন।’ টুইট করেছেন সচিনও। তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন মিতালি রাজ। মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বাধিক স্কোরার হওয়াটা দারুণ কৃতিত্বের। দারুণ খেলেছ আজ।’ ভারতীয় দলের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের অভিনন্দনবার্তা: ‘মিতালির দশ বছর বয়স থেকে প্রথম মেয়ে ক্রিকেটার হিসেবে ছ’হাজার রান টপকানো—ওর উত্থানটা দেখেছি। তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে মিতালি।’

আরও পড়ুন: শাস্ত্রীর সহকারী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে

সেঞ্চুরি: পুনমের ইনিংসও জেতাতে পারল না। ছবি: রয়টার্স

মেয়েদের প্রাক্তন অধিনায়ক ডায়না এডুলজি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকল। প্রথমে ঝুলন গোস্বামী ওয়ান ডে-তে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হল। তার পর মিতালির এই কৃতিত্ব। এতেই বোঝা যাচ্ছে আমাদের মেয়েদের খেলার মান কোথায় উঠছে।’’

মিতালিকে নিয়ে তাঁর কোচ আরএসআর মুর্তি তাঁর ছাত্রীকে নিয়ে বলেছেন, ‘‘মিতালি, সচিন, এদের তৈরি করা যায় না। এরা জন্মগত প্রতিভা।’’ সেই ২০০০ সালে মিতালি রেলওয়েজে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে দেখছেন মুর্তি। বলছিলেন, ‘‘এই সাফল্যের পিছনে অনেক পরিশ্রম, অনেক আত্মত্যাগ আছে। না হলে কেউ এই জায়গায় আসতে পারে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE