বাংলাদেশ সফরে বিরাট কোহলি-মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা যাচ্ছেন? নাকি যাচ্ছেন না?
সফর শুরু হতে বাকি আর পঁচিশ দিন। সফরের দল নির্বাচনী বৈঠক হচ্ছে আগামী ২০ মে, বুধবার। মুম্বইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে। যে দিন চূড়ান্ত ছবিটা পাওয়া যাবে। কিন্তু আপাতত তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে অপ্রত্যাশিত জটের মুখে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বোর্ড।
শোনা যাচ্ছে, বিরাট কোহলি-সহ কয়েক জন সিনিয়র ভারতীয় ক্রিকেটার নাকি ইতিমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সফরে যেতে ইচ্ছুক নন। টানা ক্রিকেট খেলতে-খেলতে তাঁরা ক্লান্ত। অতএব— বিশ্রাম প্রয়োজন। যে জল্পনা ভারতীয় ক্রিকেটমহলে ছড়িয়ে পড়ার পর বলাবলি শুরু হয়েছে, কোহলিরা যদি শেষ পর্যন্ত না যান, তা হলে সফরের আকর্ষণ আর কতটা পড়ে থাকবে? এক ঝাঁক জুনিয়র পরিবর্তে গেলে তো যুদ্ধের মেজাজটাই তৈরি হবে না।
সিনিয়র ক্রিকেটাররা নাকি ঠাসা ক্রিকেটসূচিতে খুব একটা খুশি নন। গত অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে টানা খেলে যেতে হচ্ছে তাঁদের। আইপিএল শেষ হলে আবার পরপর তিনটে সফর আছে। বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে এবং শ্রীলঙ্কা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সফর শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএল শেষ হওয়ার দিন পনেরোর মধ্যে। আগামী ১০ জুন থেকে একমাত্র টেস্ট ফাতুল্লায়। তার পর তিনটে ওয়ান ডে। সব মিলিয়ে মোট পনেরো দিনের সফর। যেখানে নাকি সিনিয়রদের কেউ কেউ যেতে চাইছেন না।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ওয়ান ডে-তে তিনিই অধিনায়ক। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে সিরিজ থেকে তিনিও নাকি অব্যাহতি চাইছেন। কারণ একই, ক্লান্তি। বাংলাদেশ তো বটেই, সিনিয়ররা জিম্বাবোয়ে সফরেও যেতে খুব একটা ইচ্ছুক নন। তাঁরা একেবারে শুরু করতে চাইছেন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে।
কোনও কোনও মহলে এমন রটনাও শুরু হয়েছে যে, কোহলিদের এ ভাবে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছেপ্রকাশ বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট মুজতবা কামালের বিতর্কিত মন্তব্য নয় তো? ওই মন্তব্যের পরেও কামাল ক্ষমা চাননি বলে তখন অনেকে রেগে ছিলেন। কারও কারও মনে হয়েছিল, বাংলাদেশে যখন ভারতকে ঘিরে এতটা ক্রিকেট-বিদ্বেষ, তখন সফরে যাওয়ার দরকার কী? প্রশ্ন উঠছে, বোর্ডকে কোহলিদের এমন বার্তা পাঠানোর পিছনে আসল কারণটা কি? ক্লান্তি? নাকি অন্য কিছু?
কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, কোহলিদের এখন তা হলে বোঝাবেন কে? বলা হচ্ছে, কাজটা হওয়া উচিত বোর্ডের নতুন ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির। যাদের প্রথম কাজ হবে সিনিয়রদের বোঝানো যে তোমরা সফরগুলোতে যাও। ম্যাচগুলো খেলো।
আরব সাগরের তীরে নির্বাচনী বৈঠকের আগে সমাধানের কোন টোটকা নিয়ে এখন আবির্ভূত হয় জগমোহন ডালমিয়ার ভারতীয় বোর্ড, এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy