Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চতুর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিনি ব্যর্থ, মেনেই নিলেন সনি

আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের চতুর ফুটবলের কাছেই তাঁরা হেরে গিয়েছেন, স্বীকার করে নিলেন সনি নর্দে।

বিষণ্ণ: সনি নর্দে। নিজস্ব চিত্র

বিষণ্ণ: সনি নর্দে। নিজস্ব চিত্র

রতন চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৩
Share: Save:

আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের চতুর ফুটবলের কাছেই তাঁরা হেরে গিয়েছেন, স্বীকার করে নিলেন সনি নর্দে। ডার্বির পরের দিন সকালে অনুশীলনের পর হাইতি মিডিয়ো বলে দিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল আমাদের বিরুদ্ধে চতুর (ক্লেভার) ফুটবল খেলেছে। তা ছাড়া ওরা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত এবং জয়ের তাগিদ নিয়ে মাঠে নেমেছিল।’’

অনেক কম অভিজ্ঞ ইস্টবেঙ্গলের রাইট ব্যাক লালরাম চুলোভা তাঁকে খেলতেই দেননি রবিবারের যুবভারতীতে। সেটাও মেনে নিয়েছেন সনি। ‘‘আমার কাছে সমর্থকদের অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। আমি তা পূরণ করতে পারিনি। কিছুই খেলতে পারিনি। বল পেলেই ইস্টবেঙ্গলের দু’তিনজন চলে আসছিল সামনে। ওদের রক্ষণ জমাট ছিল।’’ পাশাপাশি সবুজ-মেরুনের সব চেয়ে দামি ফুটবলারের মন্তব্য, ‘‘ইউতাকে (কিনোয়াকি) ধরে আমরা একটা পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। সেই মতোই সবই চালছিল। শেষ মুহূর্তে ও ছিটকে যাওয়ায় মানসিক ভাবে আমরা একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। সব কিছুই ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।’’

আই লিগে খেতাব জেতার আশা নেই মোহনবাগানের। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। বাকি সব ম্যাচ জিতলেও খেতাব জয় সম্ভব নয়। অথচ সামনে রয়েছে আরও ছ’টি ম্যাচ। বুধবারই ফের যুবভারতীতে কিংসলে ওবুমেনেমেদের খেলতে হবে গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে। কিন্তু ডার্বি এবং খেতাব হাতছাড়া হওয়ার পর কোন লক্ষ্যে খেলবেন দিপান্দা ডিকারা? সনি বলে দিলেন, ‘‘কেউ যদি বলেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার, তা হলে সেটা মিথ্যা বলা হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য শেষ চারে থাকা। যাতে সুপার কাপের মূল পর্বে সরাসরি থাকা যায়।’’ সুনসান ক্লাব তাঁবু থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার মুখে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়েছে, ‘‘আমি চোট সারিয়ে ফিরে এসেছি পুরনো ক্লাবে। এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার ছিল। কিন্তু ডার্বিতেই তো কিছু করতে পারলাম না। খারাপ খেলার পাশাপাশি কপালও আমাদের সঙ্গ দেয়নি। ডিকা (দিপান্দা)-র গোল বাতিল না হলে ম্যাচ ১-১ হয়ে যেতে পারত। সেটা হয়নি।’’

ডার্বি হারার পর লিগ হাতের বাইরে। সামনে সুপার কাপ। সোমবার চেন্নাই হেরে যাওয়ায় পড়শি ক্লাব খেতাবের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মুষড়ে পড়েছেন মোহনবাগান সমর্থকরাও। নিজেদের মাঠে খালিদ জামিলের অনুশীলন দেখতে ভিড় জমাননি তাঁরা। কর্মসমিতির সদস্য সঞ্জয় ঘোষ ছাড়া কোনও কর্তাকেই মাঠের আশেপাশেও দেখা যায়নি। ইউতা কিনোয়াকি মাঠে এলেও অনুশীলন করেননি। জাপানি মিডিয়ো পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, তা জানা যায়নি। এ দিনই তাঁর এমআরআই হয়েছে। তবে পরের ম্যাচগুলোতে দলকে চাঙ্গা রাখতে এ দিন অনুশীলনের আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মোহনবাগান কোচ। দীর্ঘক্ষণ নিজের মতো করে আলোচনা করেন তিনি। সেখানে পর্দায় খালিদ সবাইকে দেখান, ডার্বিতে কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে। মোহনবাগান ড্রেসিংরুম থেকে যে খবর বেরিয়ে আসছে তাতে ডার্বির ভুলগুলো পরের দিকে শুধরে নেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি খালিদ বলেছেন, ‘‘ডার্বির কথা ভেবে আর লাভ নেই। সামনে যে ম্যাচগুলো আছে সেগুলো জেতার চেষ্টা করতে হবে। সামনে সুপার কাপ আছে।’’ তবে ফুটবলারদের ভুল ধরলেও খালিদের প্রথম একাদশ বাছা নিয়েই দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। ড্যারেন ক্যালডেইরা এবং গুরজিন্দার কুমারকে কেন নামানো হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE