সনিদের ‘গম্ভীর’ প্রস্তুতি । বুধবার। -সুদীপ্ত ভৌমিক
প্রথম পর্বে এগিয়ে থেকেও গত বছর আই লিগ ফস্কে গিয়েছিল। তাই এ বার ফের আই লিগ ট্রফিটা সবুজ-মেরুন তাঁবুতে আনতে মরিয়া সনি নর্দে।
আর সেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অঙ্ক কষতে গিয়ে সনি দেখে নিয়েছেন লিগ জয়ের ‘ম্যাজিক নম্বর’ও। এ দিন অনুশীলন সেরে বাড়ি যাওয়ার পথে তা জানিয়েও দিলেন প্রচারমাধ্যমকে।
সবুজ-মেরুনের ১৬ নম্বর জার্সিধারী এই বিদেশি ফুটবলারের কথায়, ‘‘৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট আমাদের। বাকি ম্যাচ হারা চলবে না। ৩৯ পয়েন্ট দরকার। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ওই পয়েন্টটা তুলতেই হবে।’’
যার অর্থ, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বাকি ৯ ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট তোলাটাই লক্ষ্য মোহনবাগানের। দু’বছর আগে ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে আই লিগ জিতেছিল সঞ্জয় সেনের টিম। গত বছর ১৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু। দু’পয়েন্ট পিছনে থেকে রানার্স হয় মোহনবাগান।
সনির মতোই এ দিন সবুজ-মেরুন কোচ সঞ্জয় সেনও বলে দিলেন, ‘‘প্রথম পর্বে চেয়েছিলাম সাতটা জয়। সেখানে ছ’টা জয় এসেছে। খুব খারাপ ফল নয়।’’ দ্বিতীয় পর্বে সঞ্জয়-সনি জুটির নকশা কী? দু’জনেই বলছেন, ‘‘আমাদের সামনের তিনটি ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এই তিন ম্যাচ জিততেই হবে।’’
আই লিগে সামনের তিন ম্যাচে সনি নর্দেদের প্রতিপক্ষ— গোয়ায় চার্চিল ব্রাদার্স (৪ মার্চ), ঘরের মাঠে মুম্বই এফসি (৮ মার্চ) এবং বেঙ্গালুরু এফসি (১১ মার্চ)। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুনের ম্যাচ আবার বেঙ্গালুরুর মাঠে। যা নিয়ে সতর্ক মোহনবাগানের কোচ। বললেন, ‘‘২৮ ফেব্রুয়ারি মলদ্বীপের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবরে জিতলে ৪-১৪ মার্চ এই সময়ে আই লিগ এবং এএফসি কাপ মিলিয়ে খেলতে হবে চারটি ম্যাচ। টিমের সাফল্য নির্ভর করবে এই দশ দিনের ভাল ফলের ওপর।’’
মোহনবাগান কোচ আইজলের কাছে ইস্টবেঙ্গলের হার নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও সনি কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে বলছেন, ‘‘আমাদের সতর্ক হতে হবে। না হলে আমরাও হারতে পারি।’’ মঙ্গলবারের মতো এ দিনও জেজে, কিংশুক, প্রীতমদের সঙ্গে অনুশীলনে সনিকে মোটামুটি ছন্দেই দেখা গিয়েছে। ফিটনেস অনুশীলন ছাড়াও এ দিন জগিং এবং বল নিয়ে অনুশীলন করেছেন সনি। সঞ্জয়ও খুশি তাঁর ভরসার ফুটবলারের হাঁটুর চোট ফের না বাড়ায়। সনি নিজে বলছেন, ‘‘দু’দিন অনুশীলন করলাম। হাঁটুতে আর ব্যথা হচ্ছে না। আরও দু’-তিন দিন অনুশীলন করলে হারানো ছন্দ ফিরে পাব।’’
টিমের রক্ষণের ফুটবলারদের বেশির ভাগ চোট-আঘাতে জর্জরিত। তাই বাধ্য হয়ে মাসখানেক আগে ছেড়ে দেওয়া সঞ্জয় বালমুচুকে ফেরালেন সবুজ-মেরুন কোচ। ঝাড়খণ্ডের ফুটবলার এ দিনই যোগ দিলেন প্র্যাকটিসে।
এ দিকে মলদ্বীপে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ডাফির গোলে এগিয়ে গিয়েও এএফসি কাপের ম্যাচে ড্রয়ের পরও যোগ্যতা অর্জন পর্বের বাধা টপকানোয় আশাবাদী সবুজ-মেরুন কোচ। বলেছেন, টিম ফিরলে মলদ্বীপে যাওয়া সহকারী কোচের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করব। আর সনি বলছেন, ‘‘ঘরের মাঠে আমাদের ছ’-সাত জন ফুটবলার সুস্থ হয়ে নামবে। তাই মলদ্বীপের ড্র চিন্তা বাড়াচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy