তিনি আরও বলেন, ‘‘রোনাল্ডো সাফল্য পাওয়ার জন্য ফুটছে। সঙ্গে মান্দজুকিচ, দিবালা ও ডগলাস কোস্তা। চ্যাম্পিয়নরা তো সব এক জায়গাতেই খেলতে চায়। তাই মনে হচ্ছে জ়িদান তুরিনেই (জুভেন্তাসের শহর) আসবেন এ বার।’’
ফলে অঁরির বিশেষ দিনে জ়িদানের জুভেন্তাস-জল্পনা নিয়েও তোলপাড় ফুটবল মহলে। যদিও জ়িদানের তরফে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ফ্রান্স এবং আর্সেনালের কিংবদন্তি ফুটবলার হিসেবেই এত দিন বেশি পরিচিত ছিলেন অঁরি। যদিও বেলজিয়াম ফুটবল দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত সহকারি কোচ হিসেবে। বিশ্বকাপেও এডেন অ্যাজার, রোমেলু লুকাকুদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এ বার ক্লাব ফুটবলের পেশাদারি বৃত্তে তাঁর অভিষেক হচ্ছে কোচ হিসেবে।
ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ৪১ বছর বয়সি অঁরি ২০১৬ সাল থেকে বেলজিয়ামের সহকারি কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১-এর জুন পর্যন্ত মোনাকোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের প্যারিস সাঁ জারমাঁতে নেমার আসার পরে অঁরিও মোনাকোতে যোগ দেওয়ায় ফরাসি ক্লাব ফুটবল অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মোনাকো অ্যাকাডেমি থেকেই তিনি বেরিয়ে বিশ্ব ফুটবলে রাজ করেছেন। ‘‘সবার আগে আমি এ এস মোনাকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। যে ক্লাব আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল, তাদের কোচিং করতে পারার সুযোগটা অবশ্যই খুব তৃপ্তিদায়ক,’’ বলেছেন উচ্ছ্বসিত অঁরি। যোগ করেছেন, ‘‘মোনাকোয় ফিরতে পেরে আমি দারুণ খুশি। আমি জানি সামনের রাস্তায় প্রচুর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলোর মোকাবিলা করার জন্য আমি তৈরি। কিন্তু আমার আর তর সইছে না কাজ শুরুর করার জন্য। দলের ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ছটফট করছি।’’ ১৯৯৭-৯৮ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোনাকোর জার্সি গায়েই সাতটি গোল করেছিলেন অঁরি।