জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় একজন দক্ষ সম্পাদককে নিয়োগের জন্য সরব হয়েছেন জলপাইগুড়ির প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক সহ-সভাপতির কাছে গিয়ে এই দাবি তুলেছেন তাঁরা। যদিও সংস্থার ক্ষমতাসীন সদস্যরা তা মানতে রাজি নন বলে অভিযোগ।
উঠেছে একাধিক অনিয়মের কথাও। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের দাবি বর্তমান কমিটিতে যাঁরা পদ পেতে আগ্রহী তাঁরা সকলেই কোনও না কোনও পদে আগে থেকে আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবছর আইপিএলের টিকিট আসলেও সেই টিকিট কোথায় কত টাকায় বিক্রি হয় তা এক্সিকিউটিভ কমিটির কেউ জানেন না। জাতীয় ক্রসকান্ট্রি প্রতিযোগিতার সময় তৎকালীন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকা স্থায়ী আমানতে রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি এবং টাকার কোনও হদিশ নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, ৫ লক্ষ টাকা সিএবি থেকে ইন্ডোর পিচ তৈরির জন্য আসে। সেই কাজ বিনা টেন্ডারে একটি এজেন্সিকে দেওয়া হয়। গত ফুটবললিগে একজন সম্পাদক এক্তিয়ারভুক্তভাবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের কাছে তাদের নথিভুক্ত একজন খেলোয়াড়ের বিষয় জানতে চেয়ে চিঠিও দেন।
প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মুখপাত্র সুবীর মল্লিক বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় আমরা চাই এমন একজন সম্পাদককে যাঁর দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আছে। যিনি সুবক্তা এবং যাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তী এবং চিঠি লেখার ক্ষমতা আছে।” জলপাইগুড়ির প্রাক্তন খেলোয়াড়রা নতুন সম্পাদক হিসেবে অলোক সরকার এবং তাপস দত্তের মধ্যে কোনও একজনকে চান বলে জানিয়েছেন। অলোক সরকার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্মসচিব পদে কাজ করেছেন। সম্প্রতি গত মাসের শেষ দিন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তাপস দত্ত প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবের সম্পাদক। যদিও কোনওরকম ভোটাভুটির মধ্যে তাঁরা যেতে চান না বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন খোলোয়াড়রা। জলপাইগুড়ি নেতাজি মডার্ন ক্লাবের সম্পাদক বুবাই কর বলেন, “আমরা চাই একটি দুর্নীতিমুক্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থা। যাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে এমন কেউ জেলাক্রীড়া সংস্থায় আসুন, তা চাই না।’’ বর্তমান পরিচালন সমিতির দুর্নীতির জন্য তাঁদেরও ভুগতে হয়েছে বলে জানান বুবাই কর।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক যুগ্ম সম্পাদক ভোলা মণ্ডল ফোন ধরেননি। অপর যুগ্ম সম্পাদক কুমার দত্ত ফোন ধরলেও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।